The Indian tourism industry has been able to find its place in the World Economic Forum index: লকডাউনে যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম পর্যটন শিল্প। লকডাউন চলাকালীন নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে বন্দি থাকতে হয়েছে সকলকে। তাই ঘুরতে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। লকডাউন উঠে যাবার পর অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির চাপ সামাল দিতে খরচ কমাতে হয়েছে বহু মানুষকে। তার ফলে একাংশের ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রায় চলে গেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি পাল্টাতে চলেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ভারতীয় পর্যটন শিল্প (Indian tourism industry) নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তরফ থেকে একটি সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে ২০২৪ এ। ২০২৩ সালের বিভিন্ন দেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের উপর ভিত্তি করে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ সারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে। ২০২৩ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারত ২১ সালের তুলনায় ১৫ টি আসন এগিয়ে এসেছে। ২০২১ সালে ভারত অধিকার করেছিল ৫৪তম স্থান। ২০২৩ এ সেই সংখ্যাটা কমে ৩৯ শে এসে দাঁড়িয়েছে। মোট ১১৯ টি দেশের পর্যটন শিল্পকে নিয়ে পর্যালোচনা করে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়। তবে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যেহেতু বিচার করার মাপকাঠি প্রতি বছর পরিবর্তন হয়, তাই এই তালিকা কোন ভাবেই পূর্ববর্তী তালিকার সাথে তুলনীয় নয়।
লকডাউনের পর মূল্যবৃদ্ধির শিকার হয় ভারতীয় পর্যটন শিল্পও ((Indian tourism industry))। সেই তথ্য উঠে এসেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমীক্ষায়। জানা গেছে, লকডাউনের পর থেকে এখনো পর্যন্ত কম খরচে পরিষেবা দেবার মত পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে পারছে না ভারতীয় পর্যটন সংস্থাগুলি। এমন কি বিমান পরিষেবাও একই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ২০১৯ সালের জায়গায় কিছুতেই পৌঁছতে পারছে না ভারত। উক্ত তালিকায় স্থানাধিকারের দিক থেকে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, গত বছরের তুলনায় ২.১% নম্বর কমই পেয়েছে ভারতবর্ষ।
পর্যটন শিল্প উন্নতির ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়গুলিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয় সেই সমস্ত বিষয়গুলির উপর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভারত অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। বিষয়ভিত্তিক তালিকা তৈরি হলে অনেক কিছুতেই প্রথম দশে নাম থাকবে ভারতবর্ষের। পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়ে ভারত এগিয়ে রয়েছে সেগুলি তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে। প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে ভারতের স্থান ষষ্ঠতম। সাংস্কৃতিক বিচারে নবম, পেশাগত দিক থেকে ধরতে গেলে সেখানেও ভারতের স্থান নবম। কিন্তু এর পাশাপাশি কিছু বিষয়ে ভীষণভাবেই পিছিয়ে পড়েছে ভারত। বিমান পরিষেবায় ভারতের স্থান ২৬ নম্বরে, বন্দর সংযোগে ২৫ নম্বরে এবং খরচের বিচারে ১৮ নম্বরে জায়গা পেয়েছে ভারত।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তৈরি করা এই তালিকা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকার পর্যটন শিল্প ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উচ্চ আয় সম্পন্ন দেশগুলিতে পর্যটন শিল্পের সবচেয়ে বেশি প্রসার ঘটতে দেখা গেছে। তালিকা অনুযায়ী, প্রথম ৫ এ জায়গা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, আমেরিকা ও স্পেন। তার পরবর্তী ধাপে ৬ থেকে ১০ নম্বরে নাম রয়েছে সুইজারল্যান্ড, ইটালি, ব্রিটেন, চীন ও জার্মানির।