নিজস্ব প্রতিবেদন : বাস সহ বিভিন্ন চার চাকার যানবাহন বা দুই চাকার যানবাহন আমাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। গণপরিবহনের ক্ষেত্রে বাস (Bus) ট্রেনের পরই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ট্রেনে যেমন ভারতে প্রতিদিন প্রায় এক কোটির কাছাকাছি মানুষ যাতায়াত করে থাকেন ঠিক সেই রকমই বাসেও দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়াও চারচাকা সহ অন্যান্য যানবাহন তো রয়েছেই।
তবে এই সকল সমস্ত যানবাহনের কথা যদি বলা হয় তাহলে শেষে একটি ফলাফল উঠে আসে ধোঁয়া আর সেই ধোঁয়া থেকে পরিবেশ দূষণ। কিন্তু ভারতে এবার এমন এক বাস চালু হতে চলেছে যা থেকে দূষিত ধোঁয়ার পরিবর্তে বের হবে জল। ভারতে প্রথম এই ধরনের বাস চালু হতে চলেছে। এতদূর শুনে সবার মধ্যেই কৌতুহল জাগতে পারে, এই বাস কি বাস? যাতে পরিবেশ দূষণকারী ধোঁয়া বের হবে না আর তার পরিবর্তে বের হবে জল!
আসলে এই বাস হলো হাইড্রোজেন চালিত বাস (Hydrogen Bus)। ভারতে প্রথম এই বাস চালু হতে চলেছে লাদাখের লে’তে। দেশের অন্যতম দুর্গম রাস্তার কেন্দ্রশাসিত এলাকায় এই বাস দাপিয়ে বেড়াবে। দেখে এমন ফিউচারিস্টিক টেকনোলজি কমার্শিয়াল ট্রায়াল প্রথম। বরফাবৃত্ত এলাকায় কনকনে ঠান্ডায় এমন বাস চালানোর জন্য কঠিন দায়িত্ব নিয়েছে ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রয়াত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা এনটিপিসি (NTPC)। তাদের তরফ থেকে লেহ প্রশাসনের হাতে এই ধরনের ২৫টি বাসের চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই বাসগুলি বিভিন্ন শহরের মধ্যে পরিষেবা দেবে। হাইড্রোজেন পাম্প তৈরি করার জন্য সংস্থার তরফ থেকে ১.৭ মেগাওয়াট সোলার প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হয়েছে প্রশাসনের থেকে লিজে নেওয়া ৭.৫ একর জমিতে। এই সকল বাস তৈরি করার দায়িত্ব নিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা অশোক লেল্যান্ড (Ashok Leyland)। এক একটি বাস তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২.৫ কোটি টাকা। ৯ মিটার ডিজেল বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীদের যত খরচ করতে হয় এই হাইড্রোজেন বাসগুলিতেও সেই একই খরচ করতে হবে।
হাইড্রোজেন চালিত বাস লে’তে স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। তবে বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। যদিও খুব তাড়াতাড়ি এই বাস পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। এই বাস পরিষেবার ক্ষেত্রে এই ধরনের বাস থেকে দূষিত ধোঁয়ার পরিবর্তে বের হবে পরিবেশবান্ধব জল।