নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের মতো দেশে গণপরিবহনের মেরুদন্ড হলো রেল পরিষেবা। প্রতিদিন এই রেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করে দেশের কোটি কোটি মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। ভারতীয় রেল যেমন গণপরিবহনের মেরুদন্ড ঠিক তেমনি এই রেল পরিষেবার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক অজানা কাহিনী।
প্রতিদিন দেশের কোটি কোটি মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে ট্রেনে ভ্রমণ করে থাকলেও সেই সকল অজানা কাহিনী জানেন না। এ সকল অজানা কাহিনী যতটাই মজাদার, ততটাই কৌতূহলের। তবে ব্যস্ততার কারণে চোখের সামনে পড়ে থাকা এই সকল কৌতূহলের বিষয়গুলি সামনে এলেও অনেকে এড়িয়ে যান।
প্রতিদিন দেশে কয়েক হাজার ট্রেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা কয়েক শত কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে থাকে। এই সকল ট্রেনের মধ্যে কোনোটি আবার হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেয়। দেশের এই সকল ট্রেনগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব পাড়ি দেয় কোন ট্রেন এবং সেই রুট কোনটি?
দেশের সবচেয়ে বেশি দূরত্বের রুট হল অসমের ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারী। কয়েক হাজার কিলোমিটার এই রুট কেবলমাত্র একটি ট্রেনেই যাওয়া যেতে পারে। বিশ্বের দীর্ঘতম যে সকল ট্রেন রুট রয়েছে সেই সকল ট্রেন রুটের মধ্যে এই রুটটি একটি অন্যতম। এই রুটটিই হলো ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন রুট। এই রুটে যে ট্রেনটি চলাচল করে তার নাম হলো বিবেক এক্সপ্রেস।
ভারতের দীর্ঘতম এই রেলপথ কভার করতে এই বিবেক এক্সপ্রেসের সময় লাগে ৮০ ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় লাগে। অর্থাৎ ৩ দিন ৮ ঘণ্টা। ৫৫টি নির্ধারিত স্টপেজ। মোট ৪,২৭৩ কিলোমিটার রেলপথ কভার করে। ২০১৩ সালে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে এই ট্রেনটি চালু করা হয়।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম ট্রেন রুট রয়েছে রাশিয়ায়। সেখানে মস্কোতে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে এবং প্রায় ৯,২৫০ কিলোমিটার পেরিয়ে ভ্লাদিভোস্টকে পৌঁছায়। ট্রেনটির এই পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে ৬ দিন। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে এই ট্রেনটি একাধিক টাইম জোন অতিক্রম করে।