নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের সবথেকে উঁচু ভাস্কর্য হিসাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের ১৮২ মিটার উঁচু স্ট্যাচু (Statue of Unity) তৈরি হয় মোদি সরকারের আমলে। নর্মদা নদীর তীরে সাতপুরা ও বিন্ধ্যাচল পর্বতের মাঝে অবস্থিত প্রায় ৬০ তলা বাড়ির সমান উঁচু এই স্ট্যাচু। স্ট্যাচুর পাশাপাশি এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও পর্যটকদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই স্থানটিকে ‘অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান’ বলে বর্ণনা করেছেন।
২০১৮ সালের ৩১শে অক্টোবর এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটির উদ্বোধনের পর দেশজুড়ে যেমন কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপের পক্ষে সাধুবাদ মেলে, ঠিক তেমনি সমানভাবে তৈরি হয় বিতর্কের। সমালোচকরা প্রশ্ন তোলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যখন নিম্নমুখী তখন এইভাবে স্ট্যাচু তৈরি করে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা কতটা যুক্তিযুক্ত! যদিও কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ভারতীয়দের আবেগ এবং পর্যটনের বিষয়টিতেই বারংবার জোর দেওয়া হয়। আর এবার সেই সকল সমস্ত বিতর্ককে দূরে সরিয়ে পর্যটক টানার নিরিখে রেকর্ড গড়ছে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি।
বর্তমান করোনাকালেও বিপুল সংখ্যক পর্যটক টেনে নজির গড়লো ঐক্যের প্রতীক এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। বর্তমানে এই স্ট্যাচু এবং জায়গা স্ট্যাচু অফ লিবার্টির (Statue of Liberty) থেকেও বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রশাসনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতেও এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ১৩ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে।
করোনাকালে লকডাউন চলাকালীন গত ৭ মাস বন্ধ ছিল এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। এরপর তা গত মাসে পর্যটকদের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। আর পর্যটকদের দরজা খুলতেই প্রথম মাসেই প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে। নভেম্বর মাসে তা গড়ে প্রতিদিন ১৩ হাজারে পৌঁছায়।
প্রসঙ্গত, এই জায়গায় ঐক্যের প্রতীক স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ছাড়াও পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু আকর্ষণীয় বস্তুর মধ্যে হলো ডায়েট পার্ক, আরোগ্য ভ্যান, তাঁবুতে থাকার সুবিধা, সঙ্গে রিভার র্যাফটিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ব্যবস্থা। এছাড়াও রয়েছে সর্দার প্যাটেল জুলজিক্যাল পার্ক। যেখানে ১১০০ ভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাণী এবং ৫ লক্ষ বিভিন্ন ধরনের গাছের দেখা পাওয়া যায়।