Inspiring story: কোটিপতি মেয়ে-জামাই, তাও নিজের এই কর্ম ছাড়েননি ৭০ বছরের বৃদ্ধ

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Inspiring story of a 70 years old man: শ্বশুরমশাইয়ের মুদি দোকানে গেলেন কোটিপতি জামাই। কিন্তু এই জামাই যে-সে জামাই নন, তিনি আসলে ভারতের অন্যতম সফল স্টার্টআপ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা CEO। সম্প্রতি একটি ছবি খুবই ভাইরাল হচ্ছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। শ্বশুরের মুদি দোকানে বসে একটি ছবি শেয়ার করেছেন Zerodha কর্তা নীতিন কামাথ। শ্বশুর তার কাছে রীতিমতো আদর্শ। তার অনুপ্রেরণার কাহিনী (Inspiring story) শেয়ার করে নীতিন লিখেছেন, যদি স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাও তবে নিজেরটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাক।

Advertisements

নীতিন কামাথ আরো জানান যে, তাঁর শ্বশুর শিবাজি পাটিল প্রায় ৭০ বছর বয়সী। তিনি একসময় ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। তিনি আঙ্গুল হারিয়েছিলেন কার্গিল যুদ্ধের সময় তুষারপাতের কারণে। এরপরে স্বেচ্ছায় অবসর নেন তিনি। অবসর গ্রহণের পর তিনি বেলগাঁওয়ে একটি মুদির দোকান শুরু করেন। Zerodha CEO লিখেছেন, এত বয়স হওয়া সত্বেও তিনি যখন দোকানের জন্য জিনিস কিনতে যান তখন কিন্তু তাঁর বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য ডিজাইন করা পুরনো স্কুটার নিয়েই স্থানীয় বাজারে যান। তাঁর একমাত্র সাহায্যকারী হলো নীতিনের শাশুড়ি। তার একমাত্র সাহায্যকারী হওয়া ছাড়াও তিনি দোকান চালাতে সাহায্য করেন। দোকান এবং ঘর, দুটিই চালনা করেন তিনি। তার কাহিনী সত্যি মানুষকে অনুপ্রেরণা দেবে (Inspiring story)।

Advertisements

নীতিন কামাথ জানান, তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের বয়স হয়তো ৭০ বছর কিন্তু তবু নীতিন এর স্ত্রী সীমা পাটিলের কোনরকম সাহায্য তিনি চাননি। নীতিন কামাথ কোটি-কোটি টাকার মালিক, এমনকি তাঁর স্ত্রীও তাই। সাধারণত এমনটা হলে মা-বাবাকে কাজ না করে বিশ্রাম নিতেই বলেন সকলে। কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য ধাতুতে গড়া তাঁর শ্বশুর শিবাজি পাটিল (Inspiring story)। এখনও পর্যন্ত নিজের ছোট মুদির দোকানই মনযোগ সহকারে চালান তিনি।

Advertisements

তিনি আরও বলেন যে, যখন তাঁকে দোকানের বিভিন্ন জিনিসের লাভ সম্পর্কে জানতে চাই তিনি বেশি খুশি হন। বাদাম চাক্তিতে ২৫% মার্জিন থাকে। তিনি সেগুলি ২০০ টাকায় একটি বাক্স কিনছেন। আর ২৫০ টাকা করে বিক্রি করেন। নীতিন কামাথ জানান, এখনো পর্যন্ত কোনো বিষয় নিয়ে তাকে অভিযোগ করতে দেখা যায়নি। এমনকি যুদ্ধে যে তাঁর আঙ্গুল হারিয়ে যায় সেই বিষয়েও নয়।

যখন ২০০৭ সালে তিনি তাঁর মেয়েকে বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছিলেন, তখন বহুবার সরকারি চাকরির চেষ্টা করতে রাজি করাতে চেয়েছিলেন নীতিনকে। সেই সময়ে ছিল নীতিনের স্ট্রাগলিং পিরিয়ড। তিনি বলেন, আজকাল কীভাবে আরো সুস্থ থাকা যায় আর ভাল জীবন কাটানো যায় সেই সম্পর্কে বেশি বেশি চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। এর মূল মন্ত্র হলো নিজের যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা এবং মানসিক এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা। এগুলি আপনি কখনও টাকা দিয়ে পাবেন না। শিবাজী পাটিল এর সর্বোত্তম উদাহরণ।

Advertisements