নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যাঙ্ক এবং ইনসিওরেন্স সংস্থাগুলির মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে বহু সময় ভুলভাল বুঝিয়ে গ্রাহকদের ইন্সুরেন্স বা বিমা (Insurance) গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা করোনাকালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এবার এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই নড়েচড়ে বসলো কেন্দ্র এবং কড়াবার্তা (New order for Insurance) দেওয়া হল ব্যাঙ্কগুলিকে।
গত কয়েক বছর ধরেই এই ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গিয়েছে, কোন গ্রাহক হয়তো নিজের প্রয়োজনে ব্যাংকের কাছে লোন নেওয়ার জন্য দৌড়েছেন আর সেই সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই গ্রাহকের অসুবিধাকে কাজে লাগিয়ে তার গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছে কোন ইন্সুরেন্স। গ্রাহকদের নানান ভাবে ভুলভাল বুঝিয়ে এমন করা হয় বলেও বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ আর্থিক পরিষেবা দপ্তরে।
দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের অভিযোগ জমা পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার নড়েচড়ে বসলো আর্থিক পরিষেবা দপ্তর। আর্থিক পরিষেবা দপ্তরের সচিব বিবেক জোশী এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটা আর করা যাবে না বলেই কড়া বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলিকে। এই ধরনের ঘটনা নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষগুলিকে সংবেদনশীল হতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, গ্রাহকদের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
গ্রাহকদের ভুল বুঝিয়ে ইন্স্যুরেন্স বা বিমা গতিয়ে দেওয়ার ঝোঁক নিয়ে ভিজিল্যান্স কমিশনও আপত্তি তুলেছে। তাদের মতে এইভাবে বীমা বিক্রি কেবলমাত্র ব্যাঙ্কের ফিল্ড অফিসারদের উপর চাপ বৃদ্ধি করে না, এর পাশাপাশি ব্যাংকের মূল যে ব্যবসা তারও ক্ষতি করে। সচিবের বার্তা অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। পাশাপাশি তিনি এটাও দাবি করেছেন, রাষ্ট্রযাত্ত্ব ব্যাংকগুলি ছাড়াও বেসরকারি ব্যাংকগুলিতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।
তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে আগামী দিনে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সেই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ আর্থিক পরিষেবা দপ্তরের সচিব এইভাবে কড়া বার্তা দেওয়ায় অনেকটা কাজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলে একাংশ। আর এই বার্তার পর এইভাবে ভুলভাল বুঝিয়ে ইনস্যুরেন্স বিক্রি করার ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত বলেও মনে করা হচ্ছে। কেননা অনেকেই রয়েছেন যারা ব্যাংকের তরফ থেকে যা বোঝানো হয় সেই বোঝানো মতো সুবিধা না পেয়ে ব্যাংকের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। ফলে সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বহু ক্ষেত্রেই।