বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবরোধ শ্রমিক সংগঠনের

গৌড় চক্রবর্তী : বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আইএনটিটিইউসি (INTTUC) কন্ট্রাক্টর ওয়ার্কাস শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে শুক্রবার সকালে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কারখানা ঢোকার মূল রাস্তা অবরোধ করা হয়। সকাল আটটা হতে অবরোধ শুরু হয় এবং তারপর প্রায় হাজার খানের শ্রমিক মিছিল করে কারখানার প্রশাসনিক ভবন তথা জিএম বিল্ডিং ঢোকার মুখে অবরোধ করে বসে পরে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ ও পাশাপাশি অবস্থান বিক্ষোভ। অবরোধ চলাকালীন কোনো আধিকারিককেই কার্য ঢুকতে কিম্বা বেরোতে দেওয়া হয়নি।

অসংঘটিত শ্রমিকদের এমওএস রিনুয়াল ও টেকনেশিয়ানদের এম.ও.এসের আওতায় নিয়ে আসার দাবী ও নতুন ছাইপুকুরের জন্য জমি নেওয়া সংগ্রামপুরের বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের দাবী নিয়ে একাধিকবার জেনারেল ম্যানেজারের নিকট ইউনিয়নের পক্ষ থেকে যাওয়া হলেও তিনি বসতে চাননি। এমনকি একমাস আগে একুশে নভেম্বর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একবার কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন দেবার সময়ও বিষয়গুলি দেখছি বলেও জেনারেল ম্যানেজার অমরনাথ পাল আর কোনো উচ্চবাচ্য করেননি বলে অভিযোগ।

এরপর গতকাল বিকেলে ইউনিয়নের সেক্রেটারি অসীম মণ্ডল, সুদীপ্ত মুখার্জীরা গেলে জেনারেল ম্যানেজার অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। এরপরই আজ সকালে ডিউটি ঢোকার পরই শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন, অড্মিনিস্ট্রেটিব বিল্ডিংয়ে জমায়েত হন। উপস্থিত ছিলেন কন্ট্রাক্টর ওয়ার্কাস ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রও।

ভোলানাথ মিত্র বক্তব্য রাখার সময় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সতর্ক করেন।

তিনি বলেন, “কারখানা তৈরি হবার সময় যেমন রাতারাতি জেসিবি ও বুল ড্রজার দিয়ে গোপালপুর গ্রামকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল, ঠিক সংগ্রামপুরের ক্ষেত্রে একই মনে না করেন। আর তাই মনে করলে ফল ভালো হবে না। এমনকি দ্রুত দাবীদাওয়া না মানলে বিশ পঁচিশ হাজার লোকের জমায়েত হবে।”

শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ দাবী না মানার জন্য আজ দুপুর বারোটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। বিকেলে কারখানার কাজকর্ম স্বাভাবিক রেখে আবার আগামী কাল সকাল আটটা হতে ওই একইভাবে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। দাবী না মানা অবধি এভাবে অবরোধ চলবে বলে নেতৃত্বর পক্ষ থেকে অসীম মন্ডল, বিষ্ণু পাতর জানিয়ে দেন।