Post Office Investment Scheme: ট্যাক্স না দিয়েও মোটা টাকা সেভিংস করতে চান! বেছে নিন এইসব পথ

Invest in Post Office Investment Schemes to save big money without paying tax: বর্তমানে মধ্যবিত্তরা সবসময় চায় বিনিয়োগ করে নিশ্চিত রিটার্ন পেতে তাও আবার ঝুঁকি ছাড়া। এর জন্য সবথেকে ভালো বিনিয়োগ করার জায়গা হল ব্যাংক এবং পোস্ট অফিস। যেখানে এমন একটি স্কিম আছে যাতে আপনি পাবেন নিশ্চিত রিটার্ন এবং কোনো ঝুঁকি থাকবেনা এতে। ফলে আপনার সঞ্চিত অর্থ থাকবে পুরোপুরি সুরক্ষিত। আপনি যদি মাসে মাসে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে ২৬ লাখ টাকা পর্যন্ত মিলবে ম্যাচিউরিটি ভ্যালু। সেই স্কিমের (Post Office Investment Scheme) খুঁটিনাটি এই প্রতিবেদনে তুলে দেওয়া হয়েছে আপনাদের জন্য।

ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের রিস্ক ছাড়া ভালো রিটার্ন পাওয়ার স্কিমগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা PPF (Post Office Investment Scheme)। যেকোনো ব্যক্তি এতে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারেন। মধ্যবিত্তের এটি প্রথম পছন্দ কারণ এতে পাওয়া যায় নিশ্চিত রিটার্ন এবং ম্যাচিউরিটির সময় কোনরকম কর দিতে হয় না। PPF-এ যে ম্যাচিউরিটি ভ্যালু পাওয়া যায় তা পুরোপুরি কর মুক্ত। সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে এই স্কিমের প্রতি ঝুঁকবে। এই স্কিমে গ্রাহককে কমপক্ষে ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হয়। অবশ্য বিনিয়োগের সময় বাড়ানো যেতে পারে, এতে রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি চাইলে এই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন কিন্তু আছে তিনটি অপশন।

তিনটি অপশন এর মধ্যে প্রথমটি হল মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কোনও গ্রাহক পুরো টাকা তুলে নিতে পারেন। সঞ্চিত ওই টাকা ট্রান্সফার করা হবে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যা পুরোপুরি কর মুক্ত। দ্বিতীয় অপশান হলো মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর টাকা ওই অ্যাকাউন্টে রেখে দিন এতে জমানো টাকার উপর সুদ পাবেন। তৃতীয় অপশানটি হলো মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৫ বছরের জন্য লগ্নি করার সুযোগ পাবেন গ্রাহক। কিন্তু অন্তত এক বছর আগে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষকে সেই বিষয়ে অবগত করতে হবে না জানালে এই সুবিধা পাবেন না গ্রাহক। এই স্কিমে (Post Office Investment Scheme) গ্রাহকরা নানা সুবিধা লাভ করে থাকে।

আরও পড়ুন 👉 Sukanya Samriddhi Yojana: ৩১ মার্চ শেষ দিন, এই নিয়ম না মানলেই বন্ধ হবে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্ট

কেন্দ্র কিন্তু PPF-এ (Post Office Investment Scheme) লগ্নিতে ৭.১ শতাংশ সুদ দিচ্ছে তাই এই অ্যাকাউন্টে জমানো টাকার উপর ঋণ নিতে পারেন। এমনকি ৮.১ শতাংশ সুদের হারে EMI দিতে হবে গ্রাহককে। গ্রাহক যদি কোন কারণে নির্ধারিত সময়ে ঋণ শোধ করতে না পারে তাহলে সুদের হার অনেকটাই বেড়ে যাবে। সেই জন্য জমানো টাকা থেকে ঋণের অংশটি কেটে নিতে পারে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস।

যারা এই স্কিম সম্পর্কে বুঝতে পারছে না তাদের জন্য উদাহরণ দিয়ে বলা হলো, ধরুন কোনও গ্রাহক ১৫ বছরের জন্য প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করবে তাহলে তাঁর মোট লগ্নির পরিমাণ হবে ৯ লাখ টাকা। গ্রাহক ম্যাচিউরিটি ভ্যালুতে পাবেন ১৬.২৭ লাখ টাকা। যদি বিনিয়োগ বাড়ান ৫ বছরের জন্য তাহলে ম্যাচিউরিটি ভ্যালুর পরিমাণ দাঁড়াবে ২৬.৬৩ লাখ টাকা।