Invest in this profitable scheme of Post Office to become a millionaire in just 10 years: বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের প্রথম পছন্দ ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিস। কারণ এই সংস্থাগুলির বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে নিশ্চিত রিটার্ন পাবার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু বিনিয়োগ করা অর্থের উপর কত বেশি টাকা রিটার্ন হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিনিয়োগ পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে। অনেকেই চটজলদি বড়লোক হওয়ার আশায় লটারির টিকিট কেটে থাকেন। কিছু মানুষ হয়তো এতে উপকৃত হন, কিন্তু বেশিরভাগই আর্থিক ক্ষতিতে ভুগতে থাকেন। এখন আর চিন্তা নেই, পোস্ট অফিসের এই স্কিমে (Post Office Profitable Scheme) বিনিয়োগ করলে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়ার পাশাপাশি পাওয়া যাবে মোটা অংকের সুদও।
আপনিও কি কোটিপতি হতে চান? তাহলে বিনিয়োগের জন্য বেছে নিন পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিমকে। না লটারির মতো রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার সম্ভবনা এখানে নেই। তবে বিনিয়োগের ১০ বছর পর কোটিপতি হবার নিশ্চিত সম্ভবনা রয়েছে এই স্কিমে। রেকারিং ডিপোজিটে ন্যূনতম ১০০ টাকা করে প্রতি মাসে বিনিয়োগ করতেই হবে। তবে এই স্কিমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোন উর্ধ্বসীমা ধার্য করা নেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনি যত বেশি টাকা বিনিয়োগ করবেন তত বেশি রিটার্ন পাবেন।
আপনি চাইলে ৫ বছরের জন্য পোস্ট অফিসে রেকারিং ডিপোজিটে (Post Office Profitable Scheme) বিনিয়োগ করতে পারেন। প্রতিমাসে ন্যূনতম ১০০ টাকার হিসেবে বিনিয়োগ করতে হবে বিনিয়োগকারীকে। এই স্কিমে বাৎসরিক ৬.৭% হারে সুদ দেওয়া হয়। ৩ মাস অন্তর অন্তর চক্রবৃদ্ধি হারে নির্ধারিত হয় সুদের পরিমাণ। স্কিমটিতে বিনিয়োগ করার পর আর্থিক ম্যাচুরিটির সময় সীমা নির্ধারিত রয়েছে ৫ বছর। অর্থাৎ বিনিয়োগের ৫ বছর পর সুদসহ বিনিয়োগ করা অর্থ নিশ্চিতভাবে ফেরত পাবেন বিনিয়োগকারী। তবে আপনি চাইলে বিনিয়োগের সময় আরো ৫ বছর বাড়িয়ে নিতে পারেন।
বর্ধিত ৫ বছর সময়সীমার মধ্যে বিনিয়োগকারী চাইলে পুনরায় অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে এটি সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আপনি চাইলে নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারেন আবার না চাইলে নাও করতে পারেন। রেকারিং ডিপোজিট পোস্ট অফিসের সব থেকে লাভজনক স্কিমগুলির (Post Office Profitable Scheme) মধ্যে অন্যতম। এই স্কিমে বিনিয়োগের মাধ্যমে ১০ বছরের মধ্যে কোটিপতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে তার জন্য বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণও মোটা অংকের হাওয়া প্রয়োজন। যত বেশি পরিমাণ অর্থ মাসিক হারে বিনিয়োগ করা হবে, সুদের পরিমাণও ততই বেশি হবে। ১০ বছর পর প্রাপ্ত সুদ আসলের পরিমাণ হবে অনেকটাই বেশি।
আরও পড়ুন ? Post office new rules: বন্ধ হয়ে যাবে পোস্ট অফিসে টাকা জমা-তোলা! নতুন নিয়মে এই জিনিসটি লাগবেই
কোন ব্যক্তি যদি প্রতিমাসে ৬০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন পোস্ট অফিসের সবচেয়ে লাভজনক স্কিম (Post Office Profitable Scheme) রেকারিং ডিপোজিটের ১০ বছরের স্কিমে, তাহলে ১০ বছর পর সুদ আসলের পরিমাণ দাঁড়াবে কোটি টাকার ঊর্ধ্বে। ৬০ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে জমালে ১০ বছরে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণই হবে ৭২ লক্ষ টাকা। তার সাথে চক্রবৃদ্ধি হারে যুক্ত হবে ৬.৭% সুদ। অর্থাৎ ১০ বছর পর বিনিয়োগ করা অর্থের উপর ভিত্তি করে সুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩০.১১ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ১০ বছর পর সুদে আসলে ফেরত পাওয়া যাবে ১.২ কোটি টাকার বেশি।
Disclaimer: বাংলাXP কোনো সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) নিবন্ধিত আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা নয়। উপরিক্ত নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। বাংলাXP কোনোভাবেই কাউকেই বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহিত করে না। কোনো খাতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে নিজেস্ব চিন্তা-ভাবনা, গবেষণা এবং বাজারগত ঝুঁকি নেওয়ার সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।