RG Kar Case: গত ৯ই আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) কর্তব্যরত অবস্থায় একজন স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। পরে কলকাতার সরকারি হাসপাতালের সেমিনার হলে ৩২ বছর বয়সী ওই চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ পাওয়া যায়। এই কারণে বর্তমানে সারা দেশ জুড়ে শুধুমাত্র একটি এই বাক্যগুলিই শোনা যাচ্ছে- ‘বিচার চাই’, ‘We Want Justice’।
প্রথমে লড়াইটা যেন মনে হচ্ছিল নারী ও পুরুষের মধ্যে হচ্ছে। তবে কিছুদিন যাবৎ নারী-পুরুষ সব একত্রিত হয়ে রাস্তায় নামছে প্রতিবাদে। একের পর এক সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজের পড়ুয়ারাও জায়গায় জায়গায় মিছিল, জমায়েত করে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাচ্ছে যাতে খুব শীঘ্রই দোষীরা সামনে আসে এবং প্রাপ্য শাস্তি পায়। সেই লড়াই এখনো অব্যাহত। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যের কোথাও না কোথাও রোজ নতুন নতুন বিক্ষোভ মিছিল বের হচ্ছে।
অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্ট আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) এই তদন্ত ভার সরাসরি সিবিআই এর ওপর দিয়েছে। যার ফলে দিল্লি থেকে প্রায় ৬৫ জন আধিকারিককে আনা হয়েছে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য। সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় ঘটনার পরবর্তী দিনের গ্রেফতার হয়েছে। তাকে নানা প্রকার জিজ্ঞাসাবাদ করা সত্ত্বেও এখনো কোন সত্যি জানা যায়নি যে, সঞ্জয় ছাড়াও আর কারা কারা এই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন!
আরো পড়ুন: RG Kar Case: আরজি কর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে আর কোপ নয়, লালবাজারকে ধুয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
অপরদিকে আরজিকরের (RG Kar Case) প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকেও জেরা করা হচ্ছে। সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে চলছে চতুর্থ দফার জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গেছে যে, উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ডের সময় সীমা পাহুজা নামে যে তদন্তকারী অফিসার ছিলেন তিনিও রয়েছেন এই সিবিআই অফিসারদের মধ্যে। এএসপি সীমা পাহুজা, সিবিআই-এর অন্যতম তীক্ষ্ণ আধিকারিক৷ পাহুজার স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের অধীনে মামলা তদন্তের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা তাকে এই জটিল মামলার জন্য শীর্ষ পছন্দ করে তুলেছে।
তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ব্যতিক্রমী অনুসন্ধানমূলক কাজের জন্য দুটি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। পাহুজা সিমলার “গুড়িয়া” ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সমাধান করার সময় প্রথমবারের মতো একটি অনন্য বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন। তিনি লজিকের উপর ভিত্তি করে হাথরাস মামলাটিও সমাপ্ত করেছেন। এক পর্যায়ে, পাহুজা পারিবারিক দায়িত্বের কারণে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু তৎকালীন সিবিআই ডিরেক্টর তাকে অবসর না নিতে রাজি করেছিলেন।