Investment: সন্তান ১৮তম জন্মদিনেই হয়ে যাবে কোটিপতি! শুধু এইভাবে গুছিয়ে করতে হবে বিনিয়োগ

Prosun Kanti Das

Published on:

By investing in this way, the child will become a millionaire on his 18th birthday: অভিভাবক হিসেবে আমরা সবসময় চাই আমাদের সন্তান যেন সুখে থাকে, ভালো থাকে, সুরক্ষিত থাকে। সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবেই অভিভাবকদের উপর থাকে। উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান, তার বিচার বুদ্ধির সঠিক গঠন এবং সর্বোপরি মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাই অভিভাবকদের একমাত্র কাম্য। কিন্তু এইসব কিছুর জন্যই প্রয়োজন অর্থের। দিন দিন যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে তাতে সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চাইলে এখন থেকেই দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ করা উচিত। এমনটাই মনে করছে অর্থবিদরা। বিনিয়োগ (Investment) করার কিছু নিয়ম রয়েছে। সঠিক পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করতে পারলে সন্তানের ১৮ বছর হলেই সে কোটিপতিও হয়ে যেতে পারে।

বর্তমানে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা রীতিমত ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনই ১ টি ছোট শিশুকে স্কুলে ভর্তি করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়, তা জোগাড় করতে হিমশিম খান অনেক পরিবার। দিন যত এগোবে, এই খরচ তত বাড়বে। এরপরে সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজন হবে আরও বেশি টাকা। যদি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। সেই খরচ সামাল দিতে লোন নিতে হয় অনেককে। তাই আপনার বাড়ির ছোট্ট শিশুটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চাইলে, তাকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে চাইলে, এখন থেকেই বিনিয়োগ করা শুরু করুন। তবে যেখানে সেখানে বিনিয়োগ করলে হবে না। সঠিক নিয়ম মেনে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ (Investment) করতে হবে।

বিনিয়োগ করবেন, তবে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে খুব বেশি পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাই কম বিনিয়োগে বেশি রিটার্ন পেতে চাইলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এসআইপি পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করলে, কম সময়ের মধ্যে অনেক মোটা টাকার ফান্ড তৈরি করে ফেলা যায়। এরজন্য মাসিক অনেক বেশি পরিমাণ বিনিয়োগেরও প্রয়োজন পড়ে না। মাসিক ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে সন্তানের ১৮ বছর হওয়ার মধ্যেই জমিয়ে ফেলতে পারেন অনেক মোটা অংকের টাকা। আপনার সন্তানের ১৮ বছর পূর্ণ হতে না হতেই হয়ে যেতে পারে কোটিপতি।

আরও পড়ুন 👉 Majhi Ladki Bahin Yojana: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ১০০০-১২০০ টাকা অতীত! এবার চালু নতুন প্রকল্প, মিলবে ১৫০০ টাকা

এসআইপি পদ্ধতিতে বিনিয়োগের (Investment) ক্ষেত্রে ২ টি ভাগ রয়েছে। সাধারণ এসআইপি এবং সেটআপ এসআইপি। সন্তানের জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫০০০ টাকা নিয়মিত বিনিয়োগ করলে ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার ১ টি ফান্ড তৈরি হতে পারে। তার উপর রয়েছে সুদ। মিউচুয়াল ফান্ড থেকে যদি ১২ শতাংশ সুদ পাওয়া যায় তাহলেও সুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৭,৪৭,১৯৬ টাকা। অর্থাৎ সুদে আসলে দাঁড়াবে ৩৮ লক্ষ ২৭ হাজার ১৯৬ টাকা। এটা গেল সাধারণ এসআইপির নিয়ম। এবার ওই ব্যক্তি যদি সেটআপ এসআইপি পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করেন অর্থাৎ প্রতি বছর বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমান ৫ শতাংশ করে বাড়াতে থাকেন, তাহলে ১৮ বছর পর তার মোট সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ হবে ১৬ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৪০ টাকা। এরপর ১২ শতাংশ সুদ পেলে মোট সুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৪ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৫১ টাকা। অর্থাৎ সুদ আসল মিলে মোট সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৯৪ টাকা।

যদি নির্দিষ্ট পরিবারের আর্থিক অবস্থা তুলনামূলক একটু ভালো হয়, আর মাসিক ১০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে ১৮ বছর পর সাধারণ এসআইপি পদ্ধতিতে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ হবে ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। ১২ শতাংশ হারে সুদ পেলে সুদের পরিমাণ হবে ৫৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩৯২ টাকা। অর্থাৎ সুদে আসলে মিলে হবে ৭৬,৫৪,৩৯২ টাকা। সেটআপ এসআইপির ক্ষেত্রে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ হবে ৩৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৮৬ টাকা। ১২ শতাংশ সুদে মোট সুদের পরিমাণ হবে ৬৯ লক্ষ ১৪ হাজার ৯০১ টাকা। অর্থাৎ সুদ আসল মিলিয়ে ১৮ বছর পর সেই সন্তান ফেরত পাবে ১ কোটি ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৭৮৭ টাকা। কোটিপতি হতে চাইলে বিনিয়োগের (Investment) এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।