নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই ইজরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ বাঁধতে পারে সেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। সেইমতো ভারতের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের এই দুই দেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। আর এই সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করেই শুরু হয়ে গেল ইরান ইজরায়েল (Iran vs Israel) যুদ্ধ।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ইরান সেনাবাহিনীর তরফে শনিবার থেকেই একের পর এক ড্রোন ও মিসাইল হামলা শুরু করে দিয়েছে ইজরায়েলের উপর। ইরানের তরফ থেকে ইজরায়েলের উপর হামলা চালানো হচ্ছে সেই বিষয়ে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ইজরায়েল সেনাবাহিনীর তরফ থেকে। আর এই হামলার কারণে এখন ইহুদিদের দেশটির বিভিন্ন শহর ঘনঘন সাইরেনে কাঁপছে।
অন্যদিকে ইরানের এই হামলার পাল্টা দিতেও দেখা যাচ্ছে ইজরায়েলকে। তারা তাদের আয়রন ডোম ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে আকাশেই ইরানের একের পর এক মিসাইল ও ড্রোন ধ্বংস করছে। তবে এরই মধ্যে জেরুজালেমের বেশ কিছু জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে এই হামলা রীতিমতো ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে ইজরায়েলে। তবে প্রশ্ন হল কেন ইরান ইজরায়েলের উপর এইভাবে ক্ষেপে উঠলো আর হামলা চালাতে শুরু করলো?
আরও পড়ুন ? List of Peaceful Countries: বিশ্বের সবথেকে শান্তিপূর্ণ দেশ কোনটি, তালিকার কত নম্বরে ভারত!
ইজরায়েলের উপর এইভাবে হামলার পিছনে আপেক্ষিক ভাবে গত ১ এপ্রিলের একটি ঘটনা জড়িয়ে থাকলেও পুরো ঘটনার কিছু নিয়ে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল। যে হামলার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। এই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ইরানি সেনাকর্তাও। এই ঘটনার পর থেকেই লাগাদার ইজরায়েলকে হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান এবং তারপরই হামলা চালানো শুরু হল।
অন্যদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমানে যে ঘটনা ঘটছে সেটাই চেয়েছিল হামাসরা। প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিগোষ্ঠী চাইছিল যাতে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি একজোট হয়ে ইজরাইলের উপর হামলা চালায়। এর পাশাপাশি ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে জল ঘোলা চলছে সেই জল ঘোলায় মাছ ধরতে প্রস্তুত ইরানও। এমন কি হামাসকে মদত জোগাচ্ছে তেহেরান বলেও জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, তেহরানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে ইয়েমেনের সশস্ত্র হাউতি গোষ্ঠীও। আবার তৎপর হয়ে উঠেছে লেবাননের হেজবোল্লাও। অন্যদিকে এই হামলার নিন্দা করেছে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। জর্ডান, ব্রিটিশ ও মার্কিন বাহিনী ইজরায়েলকে সাহায্য করছে।