স্বাস্থ্য বিমায় আমূল পরিবর্তন আনছে IRDA, সুফল পাবেন গ্রাহকরা

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিমাতে। সংস্কারের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা হচ্ছে এমন অসুখ ও স্বাস্থ্যঘটিত সমস্যা যা এতদিন এই বিমার অন্তর্ভুক্ত ছিল না। যার ফলে দেশের বহু মানুষ এই নতুন স্বাস্থ্য বিমার সুফল পেতে চলেছেন।

Advertisements

Advertisements

আগামী ১লা অক্টোবর মাস থেকেই এই নতুন স্বাস্থ্য বিমা চালু হয়ে যাবে। পুরনো ও নতুন বিমার ক্ষেত্রে এই নতুন নির্দেশিকা একইভাবে কার্যকর হবে। মানসিক রোগ, বয়সজনিত অসুস্থতা, লাইফস্টাইল ডিজিজ, জিন ঘটিত সমস্যা, নিউরো ডেভলেপমেন্ট ডিস অর্ডার, পিউবারটি ও মনোপজ, চোখের সার্জারী, হাঁটু সংক্রান্ত সমস্যাগুলি বর্তমান সময়ের কথা মাথায় রেখে বিমা ক্ষেত্রে সংযোজন করা হয়েছে।

Advertisements

দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ বসবাস করে দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও দূষণজনিত সমস্যার কারণে তাঁরা শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, অবসাদজনতি নানা নাগরিক জীবন সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিমার অধীনে এই সমস্যাগুলিও মাথায় রেখে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

যদিও এই নতুন স্বাস্থ্য বিল নিয়ে স্বার্থের সংঘাত শুরু হয়েছে ইন্সুরান্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে বিভিন্ন বিমা সংস্থার। নতুন এই বিমা সংস্কারের প্রক্রিয়া এক বছর ধরেই চলছে। বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয় কোন কোন অসুখকে তাঁরা বিমার অন্তর্ভুক্ত রাখতে চান ও চান না তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে হবে।

বিমা সংস্থাগুলির বক্তব্য মানসিক অসুস্থতা সহ এমন কিছু রোগ আছে যেগুলি সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা যায় না। সেগুলি বিমার আওতায় এলে তা তাদের ব্যবসার পক্ষে লোকসানের কারণ হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে তারা গ্ৰেস পিরিয়ড রাখার দাবি জানান।

যেখানে বিমার আওতায় আসা অসুখের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু রোগের বিমার সুবিধা ওই সময়সীমা পার না হলে গ্ৰাহক পাবেন না।

গ্ৰাহকদের কথা মাথায় রেখেই বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিদ্ধান্ত নেয়, কোন গ্ৰাহক একটানা ৮ বছর বিমা জমা দিলে বিমা সংস্থাগুলি নবম বর্ষ থেকে গ্ৰাহকের কোন দাবি প্রত্যাখান করতে পারবে না।

বর্তমান সময়ে উদ্ভুত স্বাস্থ্যজনিত নতুন সমস্যার কথা মাথায় রেখে ও অর্থনৈতিক পরিবর্তিত এই সময়ে স্বাস্থ্য বিমায় আমূল পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে বলেই বিমা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের মত।

Advertisements