ইরফান খানের ১৫টি চিরস্মরনীয় সিনেমা, যা একবার দেখলে বারবার দেখতে ইচ্ছা করবে

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইরফান খানের মৃত্যু ভারতীয় সিনেমার জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। বুধবার মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভুগছিলেন দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে চলে যাওয়ায় ভারতীয় সিনেমার বিশাল ক্ষতি হলো বলেই মনে করছেন শিল্পী মহল। তাঁর স্বল্প অভিনয় জীবনে তিনি নন তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলি হয়ে উঠেছিল স্টারডম। যা তাকে আন্তর্জাতিক সিনেমার জগতে পৌঁছে দিয়েছিলো। অর্জন করেছিলেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তাঁর অভিনীত যে অসাধারণ সিনেমাগুলি বার দর্শকদের টানবে সেগুলি হল-

১. হাসিল: তিমাংসু দুলিয়া পরিচালিত এই সিনেমাতে তিন ছাত্র নেতার ভূমিকায় অভিনয় করেন।

২. মকবুল: শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথের একটি রূপান্তর। ছবিটিতে ইরফান শিরোনামের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সিনেমায় তিনি টাবু, নাসিরউদ্দিন শাহ এবং পঙ্কজ কাপুরের সাথে স্ক্রিন স্পেস শেয়ার করেছিলেন।

৩. অনুরাগ বসুর লাইফ ইন এ মেট্রো: কঙ্কনার বিপরীতে তাঁর অভিনয় সকলের প্রশংসা অর্জন করে নেয়।

৪. দ্য নেমসেক: মীরা নায়ার পরিচালিত এই সিনেমায় তিনি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। এই সিনেমাতে তাঁর অনবদ্য অভিনয় জুলিয়া রবার্টসের প্রশংসা অর্জন করে নেয়।

৫. অস্কার পুরস্কৃত স্লামডগ মিলিয়নিয়ার ছবিতে বিশ্বের দর্শকদের নজরে তিনি ভালোভাবে চলে আসেন।

৬. বিল্লু: এই ছবিতে তিনি নাপিতের ভূমিকায় অভিনয় করেন। সহ অভিনেতাদের মধ্যে ছিলেন শাহরুখ খান ও লারা দত্ত।

৭. ইয়ে সালি জিন্দেগিতে তাঁর সহ অভিনেতারা ছিলেন চিত্রাঙ্গদা সিংহ, অদিতি রাও হায়দারের মতো অভিনেতারা।

৮. পান সিং তোমর: এই সিনেমার জন্য ৬০তম জাতীয় ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডে তিন বেস্ট অ্যাক্টর হিসাবে পুরস্কৃত হন। এই সিনেমায় তাঁর অসাধারণ অভিনয় তাকে শ্রেষ্ট চরিত্র শিল্পী হিসাবে খ্যাতি এনে দেয়।

৯. লাইফ অফ পাই: অস্কার জয়ী এই সিনেমাতেও তিনি তাঁর অসাধারণ অভিনয়ের স্বাক্ষর রাখেন।

১০. হায়দার: বিশাল কাপুর পরিচালিত তিনি অসাধারণ অভিনয় দিয়ে প্রমাণ করে তাঁর অভিনয় ক্ষমতার। শাহীদ কাপূর, শ্রদ্ধা কাপূরদের মতো স্টারডম অভিনেতাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি অভিনয় করেন।

১১. তলবার: আরুশি হত্যা নিয়ে রচিত এই সিনেমাতে তিনি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। পরিচালক ছিলেন মেঘনা গুলজার।

১২. পিকু: সুরজিৎ সরকার পরিচালিত এই সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন ও দিপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে অভিনয় করেন। ছাপ রাখেন নিজস্ব অভিনয়ের।

এছাড়াও আরও তিনটি সিনেমা যা চিরস্মরণীয় দ্য লাঞ্চ বক্স, হিন্দি মিডিয়াম ও আংরেজি মিডিয়ামে তাঁর অভিনয় ক্ষমতার নৈপুণ্য রেখে যান।