নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। উৎক্ষেপণের প্রায় ৪০ দিন পর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram)। এরপর তার বুক চিরে চাঁদের মাটিতে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। সেই সকল কাহিনী আমরা সবাই জানি।
আমরা সবাই জানি কিভাবে এই মিশন সফল হওয়ার পর ভারতের নাম বিশ্বের দরবারে স্বর্ণাক্ষরে উঠে যায়। কিভাবে রোভার প্রজ্ঞান এবং ল্যান্ডার বিক্রম একের পর এক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। তাদের দুজনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চাঁদের মাটিতে অক্সিজেনের অস্তিত্ব রয়েছে তাতে সিলমোহর দেওয়া হয়। এছাড়াও তারা দুজনে খোঁজ দেয় চাঁদের মাটিতে থাকা বিভিন্ন খনিজের। খোঁজ দেয় জল সহ ভূমিকম্পের গতিপ্রকৃতি নিয়ে।
তবে এসব শেষে যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নেমে আসা শুরু হয় তখন ২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞানকে এবং ৪ সেপ্টেম্বর বিক্রমকে স্লিপ মোডে পাঠানো হয়। তবে ইসরোর বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে প্রতিটি ভারতীয়দের মধ্যে আশা ছিল, ফের যখন ১৪ দিন পর চাঁদের মাটিতে সূর্যের আলো পড়বে তখন আবার তারা দুজনে জেগে উঠবে। সেইমতো আবারো গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের জাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
২২ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের পুনরায় জাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর সোমবার দেখতে দেখতে পাঁচ দিন কেটে গেল। কিন্তু হাজার অ্যালার্ম বাজিয়ে ও তাদের কোন সাড়া মিলছে না। তাদের এইভাবে নিস্তব্ধ থাকা নানান প্রশ্ন তুলছে। যে সকল প্রশ্ন তুলছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো, তাহলে কি আর জাগবে না প্রজ্ঞান এবং বিক্রম? প্রশ্ন উঠছে আদৌ এদের কল কব্জা সব ঠিক রয়েছে কিনা?
তাদের পুনরায় জেগে ওঠার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন ইসরোর চিফ এস সোমনাথ। তবে এখনো আশা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না। অনেকেই মনে করছেন আর এই দুজন হয়তো ঘুম থেকে উঠবে না। তবে ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে তাদের পুনরায় জেগে ওঠার জন্য ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় রয়েছে। কারণ ৬ অক্টোবর ফের চাঁদের মাটিতে নেমে আসবে অন্ধকার।