যা ভাবা হয়নি তার থেকেও বেশি! চাঁদে বাস নিয়ে কালো সত্য ফাঁস করলো চন্দ্রযান ৩

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণের পর চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram), রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) ১১ দিন কাজ করার পর স্লিপ মোডে গিয়েছে। তবে এই ১১ দিনের কাজের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞান যা যা তুলে ধরেছে তা সন্তুষ্ট ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO)। এই কয়েকদিনে যা যা উঠে এসেছে তা ভারত এবং বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কাছে গবেষণার নতুন নতুন পথ খুলে দিয়েছে।

বিক্রম এবং প্রজ্ঞান এখন চাঁদের মাটিতে সূর্যের আলোর অভাবে স্লিপ মোডে গেলেও ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় জাগতে পারে যদি ভাগ্য ভালো থাকে। কেননা ঐদিন আবার চাঁদের মাটিতে সূর্যের আলো পড়বে। ভারতের চন্দ্রাভিযান এবং চাঁদের মাটি ও পরিবেশ নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের খামতি নেই কোথাও। আর এই সকল কৌতূহলের মধ্যে সবচেয়ে বড় কৌতূহল হল, চাঁদের মাটি কি মানুষদের বসবাসযোগ্য?

চাঁদের মাটিতে মানুষ বসবাস করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চন্দ্রযান ৩ থেকে যে সকল তথ্য উঠে এসেছে তা সত্যিই আশ্চর্য। কেননা চাঁদের মাটিতে বসবাস নিয়ে যা ভাবা হয়নি তার থেকেও অনেক বেশি অনুকূল পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষদের ভাবনাচিন্তার থেকেও অনেক বেশি বাসযোগ্য হলো চাঁদ (Moon)। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যে কারণে চন্দ্রযান অবতরণ করানো হয়েছে, অর্থাৎ এখানে মানুষ বসবাস করতে পারবেন কি না? তার সন্ধান নেওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত মিলেছে।

চাঁদে আবহাওয়া মন্ডল না থাকার কারণে দিনের বেলায় এখানকার তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ১৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবার রাত হতেই সেই তাপমাত্রা তরতরিয়ে নেমে যায়। রাতে এখানে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় মাইনাস ২৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে টানা পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন সূর্যের আলো থাকে আর টানা ১৪ দিন সূর্যের আলো থাকে না। বিক্রম ল্যান্ডার চাঁদের তাপমাত্রা মাপতে গিয়ে দেখেছে, চাঁদের উপরের ২ সেন্টিমিটার স্তরের নিচ থেকে ৮ সেন্টিমিটার নামতেই তাপমাত্রার পারদ ৬০ ডিগ্রী কমে যায়। এটি বসবাসযোগ্য হওয়ার লক্ষণ।

এছাড়াও চাঁদের বুকে পাওয়া গিয়েছে অক্সিজেনের অস্তিত্ব। কিন্তু যদি বাড়ি তৈরি করতে হয় তাহলে তা করতে হবে বরফের স্তরের কাছাকাছি জায়গায়। যদিও সব জায়গায় এখানে বরফ নেই, তবে রয়েছে মাটি। এছাড়াও চাঁদে পাওয়া গিয়েছে সালফার, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও অ্যালুমিনিয়াম। এই সকল তথ্য চাঁদে মানুষের বসবাস নিয়ে অনেক বেশি মজবুত ধারণা দিচ্ছে যা কখনো ভাবা হয়নি।