নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ১৩ অক্টোবর পূর্ব রেলের অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার অনিত দুলাত রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু করা নিয়ে একটি চিঠি দেয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রেল বোর্ড সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালাতে রাজি। তবে এর আগে রাজ্যের সাথে সমন্বয় তৈরি করার জন্য আলোচনায় বসতে হবে। এই আলোচনায় বসা নিয়েই চিঠিতে রাজ্যের কাছে সময় চাওয়া হয়। যার পরেই রাজ্যের বাসিন্দারা লোকাল ট্রেন পরিষেবা নিয়ে আশার আলো দেখতে শুরু করেন। পাশাপাশি পুজোর আগেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়।
তবে পুজোর আগে পুনরায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার আগে যে বিষয়গুলিকে জোর দিয়ে দেখা হচ্ছে সেগুলি হল অযথা মানুষের ভিড় না হওয়া। কারন তাতে আরও বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এর পাশাপাশি কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে চায় না কোন পক্ষই। বরং লোকাল ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু করা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সবিস্তার আলোচনাতেই জোর দিতে চাইছে রেল বোর্ড। ঠিক যেমনটা মেট্রো পরিষেবা ক্ষেত্রে হয়েছিল। রাজ্যে পুনরায় মেট্রো পরিষেবা চালু হয় দুপক্ষের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই। আর লোকাল ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হবে না।
এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে উৎসবের মরসুমে যাতে আরও বেশি সচেতন ভাবে থাকা যায়, করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি যাতে কোনভাবে লঙ্ঘিত না হয় ইত্যাদির দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। আর এসবের পরেই পুজোর আগে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে রেল বোর্ডের চিঠি ঘিরে যে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল সেই জল্পনার আপাতত ইতি বলেই মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে পুজোর আগে এখনই রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হবে না।
এবিষয়ে বৃহস্পতিবার রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছেন, ‘রেল বোর্ড লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকলেও করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় অত্যন্ত জরুরী। কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয়ের ভিত্তিতেই যৌথ নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে।’ অর্থাৎ ওই রেল আধিকারিকের কথা অনুযায়ী রাজ্যের সাথে আলোচনা না করার আগে লোকাল ট্রেনের চাকা গড়ানো সম্ভব নয় বললেই চলে।