নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার প্রথম ঢেউ অর্থাৎ ২০২০ সালে শিশুদের উপর সেভাবে প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। যদিও বা শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছিল তাতে তারা বেশিরভাগই ছিল উপসর্গহীন। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সাথে সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে শিশুরাও উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চলতি বছর মার্চ মাসে দেশের পাঁচ রাজ্যের প্রায় ৭৯ হাজার শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি অল্পবয়সীদের প্রাণহানিও চিন্তা বাড়াচ্ছে বাবা-মায়েদের। এমত অবস্থায় শিশুরা করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লে কি কি করণীয় তা জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
১) শিশুরা করোনা আক্রান্ত হলে বড়দের ওষুধ শিশুদের কাজ করে না।
২) প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো শিশুদেরও আলাদাভাবে আইসোলেশনে রাখতে হবে।
৩) বারবার শিশুর শরীরের তাপমাত্রা, অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে হবে।
৪) শরীরের তাপমাত্রা তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে।
৫) প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়াতে হবে শিশুকে।
৬) ফলের রস খাওয়ানো খুবই উপকারী। পাশাপাশি ভিটামিন সি, জিংক ইত্যাদি ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
৭) শিশুরা করোনা আক্রান্ত হলে তাদের rt-pcr রিপোর্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে পাঠিয়ে পরামর্শ নিন।
শিশুদের ক্ষেত্রে করোনার উপসর্গ
বড়দের ক্ষেত্রে করোনার যেসকল উপসর্গ দেখা দিচ্ছে সেই উপসর্গগুলির মতোই শিশুদের ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে জ্বর, সর্দি কাশি, বমি, পেট খারাপ, গলা ব্যথা, গায়ে ফুসকুড়ি, চোখ লাল হওয়া, পুঁজ ছাড়া কনজাঙ্কটিভাইসিস, স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া।
কোন কোন বিষয় লক্ষ্য করলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত
১) কোন শিশুর চার থেকে পাঁচ দিন জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২) শিশু খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩) শিশু শারীরিকভাবে দুর্বল অর্থাৎ নেতিয়ে পড়লে কোনরকম বিলম্ব না করে চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে হবে।
[aaroporuntag]
৪) শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা যেন ৯৫ এর নিচে না নামে। এমনটা হলে প্রয়োজনে নিকটবর্তী করোনা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।