Isreal: আন্তর্জাতিক মহলে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে যথেষ্টভাবে। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ নিল নেতানিয়াহু সরকার। কোন নতুন সিদ্ধান্ত নিল ইজরায়েল সরকার? এবার থেকে মসজিদে আর শোনা যাবে না আজানের কোনরকম শব্দ। ইজরায়েলের মসজিদগুলিতে আজানের সময় লাউড স্পিকারের আওয়াজ নিষিদ্ধ করলেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইমাতার বেন গিভির। যদি কেউ তার তৈরি করা নিয়ম ভাঙ্গে তাহলে তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ, পেতে হতে পারে চরম শাস্তি।
কেন এমন অদ্ভুত নিয়ম চালু করলেন ইজরায়েলের (Isreal) নিরাপত্তামন্ত্রী? লাউড স্পিকারে আজান বন্ধ করে আদৌ কি কোন লাভ হয়েছে ইজরায়েলের? ইজরায়েল সরকার দাবি করেছে যে, যদি আজানের শব্দ লাউড স্পিকারে শোনা যায় তাহলে তা দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। সেই জন্য মসজিদে আজানের শব্দ আর শোনা যাবে না লাউড স্পিকার এর মাধ্যমে।
আরো পড়ুন: কোন দেশে আছে সব থেকে বড় সোনার খনি; মোট সোনার পরিমাণ অবাক করার মতো
পাশাপাশি তারা এটাও ঘোষণা করে যে, দিনে পাঁচবার আজানের শব্দ যদি লাউড স্পিকারে শোনা যায় তাতে বেড়ে যাচ্ছে শব্দদূষণ। বহু মানুষ অভিযোগ করেছে এই ব্যাপারে। টাইমস অব ইজরায়েলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কোন মসজিদে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে আজানের শব্দ শোনা যায় তাহলে পুলিশ সেখানে ঢুকতে পারবে। এমনকি সেই মসজিদ থেকে লাউড স্পিকারের সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হবে।
আরো পড়ুন: ইসকন সাধুর গ্রেফতার ঘিরে উথাল-পাতাল বাংলাদেশ! হঠাৎ গ্রেফতারের কারণ কি
সমাজমাধ্যমে করা একটি পোস্টের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী গিভির জানান, দেশে (Isreal) এই নীতি চালু করতে পেরে তিনি সত্যিই গর্বিত। এর ফলে শব্দ দূষণ অনেক কমে যাবে, এমনকি মসজিদ থেকে অবাঞ্ছিত শব্দ আর আসবে না। আজানের শব্দ ইজরায়েলের বাসিন্দাদের কাছে একপ্রকার বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ইজরায়েলের (Isreal) বিরোধী দলীয় নেতারা অবশ্য মেনে নেননি ইতামার বেন গিভিরের এই নিষেধাজ্ঞা। তারা চরম বিরোধিতা করেছেন এই নতুন নিয়মের। এর মধ্যে রয়েছেন লেবার পার্টির গিলাদ কারিভ। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, বেন গিভির ইজরায়েলের নিরাপত্তাকে এক প্রকার হুমকিতে পরিণত করেছে। ব্যারেলগুলোতে আগুন না ধরানো পর্যন্ত বেন গিভির থামবে না। পাশাপাশি এই নিষেধাজ্ঞার কঠোর বিরোধিতা করেছেন হাদেস-টা’আল নেতা আহমেদ তিবিও। ইজরায়েলের নিরাপত্তামন্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্তে খুশি নন অনেকেই। বেন গিভির ঘৃণা ও আরবদের নিপীড়নের ওপর তার ঘাঁটি তৈরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাঙ্গাবাজ এই মন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে জন্য দায়ী।