Israeli Cyber Attack: ইসরাইলের সাইবার হামলা, বাড়াচ্ছে ইসলামিক দেশগুলির উত্তেজনা। লড়াই কি শুধু অস্ত্রের দ্বারাই হয়? না অস্ত্র ছাড়াও লড়াই করা যায়। এই ব্যথাকেই প্রমাণ করে দিল ইসরাইল। ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে অনেক দিন ধরেই চলছে সামরিক উত্তেজনা। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কারণে সমস্যায় পড়ছে প্রায় গোটা বিশ্বই। এবার এই উত্তেজনায় নতুন মাত্রাযুক্ত করল ইজরাইল। কোনরকম অস্ত্রের ব্যবহার ছাড়াই হামলা চালানো হলো ইরানের উপর। ভাবছেন তো কিভাবে সম্ভব? ইসরাইলের পক্ষ থেকে সাইবার হামলা (Israeli Cyber Attack) চালানো হয়েছে ইরানের উপর। এই ঘটনা ঘটার পর বিশ্বের অন্যান্য ইসলামিক দেশগুলি রীতিমত আতঙ্কে রয়েছে।
ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে চলতে থাকা চলমান উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে ইসরাইলের পক্ষ থেকে নেওয়া এই পদক্ষেপের কারণে। কোনরকম অস্ত্রের ব্যবহার ছাড়াই ইরানের উপর সাইবার হামলা (Israeli Cyber Attack) চালিয়েছে ইসরাইল। ইরানের গোটা দেশের সামরিক এবং পারমাণবিক ক্ষেত্রগুলিতে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে ইজরাইলের সাইবার হামলা। বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান। ইরানের সাইবার স্পেস কাউন্সিলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই তথ্য। ইসরাইলের পক্ষ থেকে করা সাইবার হামলার শিকার হয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনীর তিনটি বিভাগ।
শুধু সামরিক বিভাগ নয়, এই সাইবার হামলার (Israeli Cyber Attack) শিকার হয়েছে পারমাণবিক প্রকল্পগুলিও। এমনকি ইরানের বন্দর যোগাযোগ এবং জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে। অনেকেই জানতে চাইছেন ইসরাইল ঠিক কি চাইছে? অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ইসরাইল কি ইরানের পারমাণবিক স্থানগুলিকে ধ্বংস করতে চাইছে? তাও আবার কোন প্রকার অস্ত্রের ব্যবহার বা যুদ্ধ ছাড়াই? ইসরাইলের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অস্ত্রের ব্যবহার করা না হলেও, ইরানের পক্ষ থেকেও যে তা করা হবে না তার কিন্তু কোন মানে নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আক্রমণ বড় সামরিক যুদ্ধের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সেই আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছে অন্যান্য ইসলামিক দেশগুলি।
আরো পড়ুন: লা নিনার প্রভাবে জর্জরিত ভারত, এর কতটা প্রভাব পড়বে চলতি বছরের শীতে
মূলত ইরানের বিশেষ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনাকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে এই সাইবার হামলা (Israeli Cyber Attack) এই পারমাণবিক স্থাপনাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ফরদো পারমানবিক কেন্দ্র। এ ছাড়াও রয়েছে আর এক পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র। এই গবেষণা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছিল ২০০৬ সালে। এছাড়া আরো কয়েকটি গবেষণাগারকেও নিশানা করেছিল ইসরাইল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাতাঞ্চ এবং ইসফাহান। এছাড়াও ইরানের একাধিক তেল শোধনাগারের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছে ইসরাইল। এই হামলার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে ইরানের আর্থিক পরিস্থিতি।
ইসরাইলের পক্ষ থেকে ইরানের প্রতি করা সাইবার হামলার (Israeli Cyber Attack) ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর আরব দেশীও ইসলামিক দেশগুলি রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। ব্যাপক রকম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এই ঘটনাকে ঘিরে। ইরানের উপর হামলা হওয়ার অর্থ ইরানের পাশাপাশি গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সংগ্রাম ছড়িয়ে পড়া। এর ফল স্বরূপ গোটা বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ ইসরায়েলের সাইবার হামলা শুধুমাত্র ইরান নয়, প্রায় গোটা বিশ্বকেই ভয় দেখিয়ে দিয়েছে। এই হামলার উত্তর স্বরূপ ইরান কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।