নিজস্ব প্রতিবেদন : মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO) দিন দিন নিজেদের কৃতিত্ব দেখিয়ে বিশ্বকে তাক লাগাচ্ছে। ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) কে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করিয়ে নজির তৈরি করেছে ভারত। ভারতের এমন নজির নিয়ে হাতে গোনা কয়েকটি দেশ প্রশ্ন তুললেও দিন কয়েক আগেই নাসার এক বিজ্ঞানী ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন ভারতই এমন কাজ প্রথম করলো।
চন্দ্রযান-৩ নিয়ে যখন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব, ঠিক সেই সময় আবার তাদের তরফ থেকে আরও একটি নজির গড়ে তোলা হলো। তবে এবার ইসরোর তরফ থেকে মহাকাশে কোন মহাকাশযান অথবা কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়ে এমন নজির তৈরি করা হয়নি। এবার যে নজির তৈরি করা হয়েছে তা একেবারেই উল্টো। অর্থাৎ এবার মহাকাশ থেকে ইসরো ফিরিয়ে এনে এমন নজির তৈরি করলো এবং বিশ্বকে তাক লাগালো।
ইসরোর তরফ থেকে চন্দ্রযান ৩ এর প্রোপালশন মডিউলকে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিষয়টি সাধারণ মানুষদের কাছে সহজ লাগলেও তা কিন্তু এতটা সহজ নয়। পাশাপাশি ইসরোর তরফ থেকে এমন কাজ করে দেখানোর ফলে তারা বিশ্বকে প্রমাণ করে দেখালো, তারা যেমন চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে সক্ষম ঠিক সেই রকমই সেখান থেকে মহাকাশযান ফিরিয়ে আনতেও পারে। এই কাজের ফলে ইসরো আগামী দিনে এমন পদক্ষেপ নিয়েও নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরোর তরফ থেকে চন্দ্রযান-৩ এর প্রোপালশন মডিউল ফিরিয়ে আনার কাজটি করার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এমন নজির তৈরি করেছে। এই প্রোপালশন মডিউলে চড়েই চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল চন্দ্রযান ৩। এর সঙ্গেই যুক্ত ছিল ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রমকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার পর এই মডিউল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকেই এটি চাঁদের কক্ষপথে ঘুরছিল এবং প্রায় সাড়ে তিন মাস পর এটিকে চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর কাছাকাছি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
গত ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩ কে সফলভাবে অবতরণ করানোর পর ইসরো প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে, তারাও পারে। এর পাশাপাশি এত অল্প খরচে এমন একটি অভিযান সফল করা যায় তা তারা দেখিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে। এবার এরই সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের কাছে ইসরো তুলে ধরল, তারা মহাকাশযান চাঁদে পাঠানোর যেমন ক্ষমতা রাখে ঠিক সেই রকমই সেটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার ক্ষমতাও রাখে। যদিও এই মডিউলকে এখন পৃথিবীর কাছাকাছি আনা হলেও তাকে পৃথিবীতে আনা হবে কিনা তা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।