নিজস্ব প্রতিবেদন : সফলভাবে উৎক্ষেপণের পর চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) গত ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করে। তারপর থেকেই বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) তাদের কাজ শুরু করে দেয়। পরে চাঁদের মাটিতে যখন অন্ধকার নামতে শুরু করে সেই সময় ২ সেপ্টেম্বর থেকে দুজনকেই স্লিপ মোডে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে ইসরো (ISRO)।
১৪ দিন চাঁদের দক্ষিণ মেরু অন্ধকারে কাটানোর পর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় সূর্যোদয় প্রক্রিয়া শুরু হলে দ্বিতীয়বারের জন্য বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে জাগানোর প্রক্রিয়া শুরু করে ইসরো। ২২ সেপ্টেম্বর তাদের ঘুম ভাঙ্গানোর পরিকল্পনা থাকলেও তা সফল হয়নি। বারবার ডেকেও যখন তাদের দুজনকে ঘুম থেকে উঠানোর প্রচেষ্টা বিফলে গিয়েছে সেই সময় নতুন আপডেট দিল ইসরো।
২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হলেও এখনও পর্যন্ত তাদের থেকে কোন রেসপন্স পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আর জাগিয়ে তোলা যাবে না দুজনকে? ইসরোর বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের। এই পরিস্থিতিতে তারা কি করবেন তা জনসম্মুখে এনেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দিয়ে।
ইসরোর তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে যে আপডেট দেওয়া হয়েছে তাতে লেখা হয়েছে, বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সমস্ত রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাদের থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি মানেই কিন্তু সব শেষ নয়। তাদের দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সমস্ত রকম প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
Chandrayaan-3 Mission:
Efforts have been made to establish communication with the Vikram lander and Pragyan rover to ascertain their wake-up condition.As of now, no signals have been received from them.
Efforts to establish contact will continue.
— ISRO (@isro) September 22, 2023
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নামার পর সেখানকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে যায়। এক্ষেত্রে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের সমস্ত কলকব্জা ঠিকঠাক থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এসব সংশয়ের মধ্যেই পুনরায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রচেষ্টা শনিবারও চালানো হবে। কেননা, বিক্রম এবং প্রজ্ঞান তাদের নির্ধারিত সময়ের আগেই সব কাজ করে দিলেও এখন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা তাদের পুনরায় জাগিয়ে বাড়তি পাওনার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।