Mission Chandrayaan: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো আবারও চাঁদ জয়ের পথে নতুন কীর্তি গড়তে চলেছে। চন্দ্রযান ফোর মিশনের (Mission Chandrayaan) মাধ্যমে ইসরো এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে দীর্ঘসময়ের জন্য রোভার পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে, যা বিজ্ঞানীদের একটি বিশাল চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়েছে। চন্দ্রযান থ্রি যেখানে থেমে গিয়েছিল, সেখান থেকে শুরু করে এবার ইসরো দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অভিযানে সাফল্য পেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
চন্দ্রযান থ্রি মিশনে (Mission Chandrayaan), রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে মাত্র ১০ দিনের জন্য সক্রিয় ছিল এবং তারপরে ঘুমিয়ে পড়েছিল, যার পর আর জাগানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার, ইসরো ঠিক করেছে যে তারা রোভারের ঘুম ভাঙানোর নতুন কৌশল প্রয়োগ করবে। ইসরোর বিজ্ঞানী শিবন নাভালকার জানিয়েছেন, “আমরা এমন কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে রোভার অন্ধকারেও কাজ করতে পারে। এমনকি, ঘুমিয়ে পড়লেও সূর্যোদয়ের পর তাকে আবার কাজে নামানো সম্ভব হবে।” এই অভিনব পরিকল্পনা ইসরোর মহাকাশ অভিযানে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।
নতুন মিশনে (Mission Chandrayaan) ইসরো বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি পো-লেড এবং অত্যাধুনিক ল্যান্ডার ব্যবহার করতে চলেছে। এতে করে রোভারটি দীর্ঘ সময় ধরে চাঁদের মাটিতে থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে। ইসরো আশা করছে যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে তিন থেকে চার সপ্তাহ ধরে চলা এই মিশন তাদের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে একটি নতুন সাফল্য এনে দেবে।
আরো পড়ুন: ২ বা ৩ নয়, ভারতের অহঙ্কার চন্দ্রযান ১! ভেঙে পড়েও রচেছিল এই ইতিহাস
ইসরোর এই সাহসী প্রচেষ্টা কেবল ভারতের নয়, সারা বিশ্বের জন্যই একটি গর্বের মুহূর্ত হতে চলেছে। ২০২৭-র শেষ বা ২০২৮-র শুরুতে চাঁদে চন্দ্রযান ফোরের অভিযান শুরু হবে। এর এক বছরের মধ্যেই, ইসরো জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে আরেকটি মিশনে নামবে, যেখানে চাঁদের মাটিতে নতুন রোভার নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। চাঁদের অন্ধকারে আলোর উৎস হয়ে উঠতে প্রস্তুত ইসরো, আর এই মিশন হতে চলেছে মহাকাশ গবেষণার এক নতুন যুগের সূচনা।
এবার ইসরো চাঁদের মাটিতে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করে দেখাতে চায় যে তাদের লক্ষ্য শুধু চাঁদ ছোঁয়া নয়, বরং চাঁদকে আরো ভালোভাবে বোঝা এবং চাঁদের গভীরতম রহস্য উন্মোচন করা। চন্দ্রযান ফোরের এই অভিযানের মাধ্যমে ইসরো এমন সব কাজ করতে চায় যা আগে কখনো হয়নি, আর সেই চ্যালেঞ্জকে সার্থক করে তোলার জন্য তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।