নিজস্ব প্রতিবেদন : আর মাত্র কয়েক ঘন্টা, আর তারপরেই শুরু হবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। শুক্রবার এমন এক ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী থাকবে গোটা বিশ্ব। শুক্রবার ২:৩৫ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশ্যে উড়ে যাবে চন্দ্রযান-৩। এবার যাতে এই অভিযান সফল হয় তার জন্য ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কেননা ভারতীয় এই মহাকাশ গবেষণাগার আর ২০১৯ সালের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে না।
২০১৯ সালের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই বছর যে সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা জানিয়েছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। তিনি নিশ্চিত করেছেন, যাতে আগের মত আর কোন ভুল না হয় তার জন্য সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। এমনকি যাতে এই অভিযান পুরোপুরিভাবে সফল হয় তার জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযানের সঠিকভাবে অবতরণ খুবই চ্যালেঞ্জিং। এখনো পর্যন্ত এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে মাত্র তিনটি দেশ। সফল সেই তিন দেশ হল আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন। এক্ষেত্রে যদি ভারত চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করাতে পারে তাহলে চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারতের এমন সফলতা আসবে এবং এই দেশগুলির ক্লাবে ঠাঁই পাবে।
চন্দ্রযান-৩ যাতে সফল হয় তার জন্য ইসরোর তরফ থেকে এলভিএম-৩ রকেটের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই রকেট চন্দ্রযান-৩ কে পৃথিবী থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাবে। এরপর চন্দ্রযান-৩ কে চাঁদের কক্ষপথ থেকে একশ কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছে দেবে ভেহিকেল মার্ক-৩। এর পাশাপাশি একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে ল্যান্ডারে।
ল্যান্ডারের পা আগের তুলনায় অনেক মজবুত করা হয়েছে এবং বসানো হয়েছে নতুন সেন্সর। এর পাশাপাশি থাকছে বড় মাপের সোলার প্যানেল। এছাড়াও যে সকল বড় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে তার মধ্যে একটি হল অবতরণ এলাকার সম্প্রসারণ। এর পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি এবং ব্যর্থতা দূর করে সফলতা আনবে চন্দ্রযান-৩, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।