নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথম ইনিংসে খেল দেখানোর পর চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) স্লিপ মোডে যায়। মূলত চাঁদের মাটিতে অন্ধকার নেমে আসার পরই তারা স্লিপ মোডে যায়। তবে স্লিপ মোডে যাওয়ার আগে তাদের যা যা করণীয় কাজ তা আগেই সেরে ফেলা হয়। যদিও ইসরো (ISRO) এবং আপামর ভারতীয়দের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছিল, পুনরায় চাঁদের মাটিতে সূর্যের আলো পড়লে ফের বিক্রম ও প্রজ্ঞান জেগে উঠবে এবং পুনরায় কাজ শুরু করবে।
যদিও সেই আশা পূরণ হয়নি। চাঁদের মাটিতে পুনরায় সূর্যের আলো পড়ার পর বারবার ডাকাডাকি করেও তাদের দুজনকে ঘুম থেকে উঠানো সম্ভব হয়নি। এরপর আবার চাঁদের মাটিতে নেমে এসেছে অন্ধকার। পুনরায় অন্ধকার নেমে আসার ফলে আর এই মুহূর্তে তাদের জেগে ওঠা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে নিয়ে কি ভাবছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা?
চাঁদের মাটিতে পুনরায় বিক্রম এবং প্রজ্ঞান জেগে না উঠলেও আফসোস নেই কারো। কারণ ইতিমধ্যেই তারা তাদের যা কাজ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে গিয়েছিল সব কাজ সময়ে সেরে ফেলেছে। যদি পুনরায় তারা জেগে উঠত তাহলে হয়তো তা ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে ডবল বেনিফিট হয়ে দাঁড়াতো। তবে তারা দুজন জেগে না ওঠার ফলে আগামী দিনেও তাদের জেগে ওঠার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও ইসরোর তরফ থেকে একেবারেই আশা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না।
এই বিষয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, পুনরায় তাদের জেগে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও একেবারেই যে আগামী চন্দ্রদিনে জেগে উঠবে না তেমনটাও মনে করা হচ্ছে না। আর সেই কারণেই ইসরোর তরফ থেকে অফিশিয়ালি তাদের চিরঘুমে যাওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করা হয়নি। ইসরোর তরফ থেকে অফিসিয়ালি এমন ঘোষণা না করার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের মানুষেরাও আশা ছাড়ছেন না।
তবে যদি সত্যিই তারা আর কোনদিন জেগে না উঠে তাহলে অন্যান্য মহাকাশযানের মতই চাঁদের মাটিতে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান মৃত অবস্থায় পড়ে থাকবে। তারা আজীবন ভারতের দূত হিসাবে চাঁদের মাটিতেই থাকবে। তাদের ফিরিয়ে আনার মতো কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি ইসরো।