‘নরেন্দ্র মোদির জন্য হয়েছে’, কেন যুদ্ধ হলো না প্রশ্ন অনুব্রত মণ্ডলের

হিমাদ্রি মণ্ডল : ‘নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি দল আজকে দালালি করে চীনের। আমরা করিনা।’ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল শুক্রবার সকালে বীরভূমের মহঃবাজারের শহীদ রাজেশ ওরাংয়ের বাড়িতে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সমস্ত ঘটনার জন্য এভাবেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্র সরকার ও বিজেপিকে দায়ী করে একহাত নেন।

ভারত-চীন সীমান্তে লাদেখের গালওয়ান উপত্যকায় সোমবার রাতে দুই দেশের সেনা সংঘাতের কারণে ভারতের ২০ জন সেনা শহীদ হন। আর এদের মধ্যে রয়েছেন বীরভূমের রাজেশ ওরাং এবং আলিপুরদুয়ারের বিপুল রায়। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নাম ঘোষণার পরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুই পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা ও পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আর সেই প্রতিশ্রুতি মত শুক্রবার সকালে রাজেশ ওরাংয়ের বাড়িতে ৫ লক্ষ টাকার চেক নিয়ে পৌঁছান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।

এদিন অনুব্রত মণ্ডল রাজেশের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি রাজেশের বোনের পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব তৃণমূল কংগ্রেস বহন করবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

অনুব্রত মণ্ডল জানান, “তৃণমূল কংগ্রেস সবসময়ই এই পরিবারের পাশে থাকবে। আমরা দালালি করি না, তৃণমূল কংগ্রেস দালালি করে না। নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি দল আজকে দালালি করে চীনের। আমরা দালালি করি না। ২০ বার চীন গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত যুদ্ধ আরম্ভ করল না। তার পাল্টা জবাব নিলো না। কেন নিলো না? কেন পাল্টা জবাব হলো না। সে চীনের দালালি করছে, আবার বড় বড় কথা বলছে। একটা মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী। চিনের দালাল। সে বলে সেনারা দেখবে। আমরা বোকা নাকি। সেনাদের ক্ষমতা আছে নাকি। রাষ্ট্রপতির সই চাই, প্রধানমন্ত্রীর সই চাই, না হলে যুদ্ধ করা যায়! বাঙালকে হাইকোর্ট দেখাইছে না। আমরা বোকা না! আমরা পাল্টা জবাব চাইছি।”

এরপর এই প্রশ্ন ওঠে কেন্দ্র সরকারের গাফিলতিতেই কি এতগুলো প্রাণ গেল? আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল এদিন কেন্দ্র সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করে জানান, “১০০%। নরেন্দ্র মোদির জন্য হয়েছে। একটা অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী ভারতবর্ষের।”