It is difficult to survive after being bitten by this poisonous snake of Bengal: একটি উভচর সরীসৃপ প্রাণী হল সাপ। পৃথিবীতে প্রায় ২৯০০ টি প্রজাতির সাপ রয়েছে। সারা পৃথিবীতে ১ মাত্র আন্টার্টিকা ছাড়া প্রায় প্রত্যেকটি দেশেই রয়েছে সাপের অস্তিত্ব। কোন সব আকারে খুব ছোট, তো কোন সাপ আকারে অনেক বেশি বড়ো। কোন সাপের বিষ আছে, তো কোন সাপের বিষ নেই। যদিও বিষাক্ত সাপগুলিও (Poisonous Snake) মূলত নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য শিকারকে আঘাত করার জন্যই বিষের ব্যবহার করে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম বাংলাতেও একাধিক সাপের অস্তিত্ব রয়েছে। আমার আপনার বাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় অনেক সাপকে। এর মধ্যে বিশেষ ১ টি সাপ রয়েছে যা অত্যন্ত বিষাক্ত। গ্রাম বাংলায় ঘুরে বেড়ানো এই সাপটিকে চেনেন কি? না চিনলে আজই চিনে নিন।
কিছু সাপ আছে যারা নিজেদের শরীরে মারাত্মক রকমের বিষ ধারণ করে। যা কারো শরীরে প্রবেশ করলে তার মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু সব সাপ কিন্তু বিষধর (Poisonous Snake) নয়। তবুও যেহেতু সাপে কামড়ালে মৃত্যু হতে পারে, তাই আমরা সমগ্র প্রজাতিটাকেই ভয় পেয়ে থাকি। এই ভয় পাওয়ার মূল কারণ হলো সঠিক তথ্য না জানা। কোন সাপে বিষ আছে, কোন সাপে বিষ নেই এই তথ্য আমরা অনেকেই ভালোভাবে জানি না। সাপ সামনে দেখলে কিভাবে সামাল দিতে হবে? কোন সাপ কাউকে কামড়ালে তারপরে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা কি নিতে হবে? এসব ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা আর তাই আমরা গোটা প্রাণীটাকেই ভয় পেয়ে থাকি। আজকের প্রতিবেদনে বিষাক্ত সাপ সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হল।
আজকের প্রতিবেদনে এমন ১টি সাপ সম্পর্কে কথা বলব যা অত্যন্ত বিষাক্ত। সাপটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম বাংলাতেই। বর্ষার সময় সাপের উপদ্রব একটু বেড়ে যায় আর এই সময়েই এই বিষাক্ত সাপের (Poisonous Snake) কামড়ে মৃত্যু হয় অনেকের। এই সাপটির ১টি বিশেষত্ব রয়েছে। আমরা জানি সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে। কিন্তু এই সাপটি মানুষের মতো সরাসরি বাচ্চা প্রজনন করে। আর অবাক করা বিষয় হলো এই সাপের সদ্য জন্মানো বাচ্চার কামড়েও মৃত্যু হতে পারে যে কোন ব্যক্তির। এতটাই বিষ বহন করে এই সাপ। সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব হয়, তবে তার সংখ্যা খুবই কম।
আরও পড়ুন ? Numeracy and Mathematics: অঙ্ক আর গণিত কখনোই এক নয়, ভুলে করে অনেকেই বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেন
কথা বলছি রাসেল’স ভাইপার নামক সাপটিকে নিয়ে। বাঙালিরা যাকে চন্দ্রবোড়া সাপ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে। ভারতে ৪ ধরনের সাপ রয়েছে, যাদের ছোবলে মৃত্যুর হার সব থেকে বেশি। এই ৪টি সাপকে একত্রিতভাবে ‘বিগ ফোর’ নামে চিহ্নিত করা হয়। রাসেল’স ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সেই বিগ ফোরেরই অন্যতম। চন্দ্রবোড়া সাপের শরীরে এতটাই বিষ থাকে যে তাদের বাচ্চারাও বিষ নিয়েই জন্মায়। জন্মানোর পরই চন্দ্রবোড়া সাপ যদি কোন ব্যক্তিকে কামড়ায়, আর সেই ব্যক্তি যদি অসাবধানতা বসত সঠিক সময় চিকিৎসা গ্রহণ না করে তাহলে তার মৃত্যু কেউ আটকাতে পারবেনা। চন্দ্রবোড়া সাপের কিন্তু আরো ১টা বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ভারতে যতগুলি বিষাক্ত সাপ রয়েছে তাদের মধ্যে সবথেকে লম্বা দাঁতের অধিকারী চন্দ্রবোড়া সাপ। ১টি পূর্ণবয়স্ক চন্দ্রবোড়া সাপের দাঁতের দৈর্ঘ্য প্রায় ১ ইঞ্চি।
এখন নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে চন্দ্রবোড়া সাপের বিষে কি এমন থাকে যার জন্য মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যায়? চন্দ্রবোড়া সাপের বিষে থাকে হোমোটক্সিন। মানুষের শরীরে মিশলে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। তাই সাপ কামড়ানোর সাথে সাথে যদি সঠিক চিকিৎসা পাওয়া না যায় তাহলে রক্ত জমাট বেঁধে মৃত্যু হয় সেই ব্যক্তির। সবথেকে সমস্যাজনক বিষয়টি হলো সাপে কামড়ানোর পর শরীরের সমস্ত রক্ত জমাট বাঁধতে খুব একটা বেশি সময় নেয় না। তাই চিকিৎসার জন্যও খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না। ভারতে আরো বেশ কিছু বিষাক্ত সাপ রয়েছে যেমন কেউটে, কোবরা, কালাচ এদের বিষেও মৃত্যু এক প্রকার নিশ্চিত। কিন্তু চন্দ্রবোড়ার সাথে এদের বিষের সামান্য পার্থক্য রয়েছে। এই সাপগুলির বিষে রয়েছে নিউরোটক্সিন। তাই এই সাপগুলি কামড়ালে স্নায়ু এবং মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ হয়ে যায় বলেই মৃত্যু হয় মানুষের।