It is surprising to know the length of the longest railway in the world: এমন অনেক যাত্রী আছেন যারা ভ্রমণের জন্য রেল ব্যবস্থাকে বেছে নেন। কারণ ট্রেনে যাত্রা করে যে আনন্দ পাওয়া যায় তা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এই যাত্রার সাথে অনেকের অনেক রকম স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের কাছে ট্রেন যাত্রা সবসময় সাশ্রয়ী এবং আরামদায়ক। ট্রেন যাত্রা সত্যি রোমাঞ্চকর তা দীর্ঘ হোক কিংবা ছোট। এই প্রতিবেদনে বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনরুটের কথায় আলোচনা করা হবে। এই তালিকাতে ভারতের নম্বর পাঁচে, আর এক নম্বরে রয়েছে রাশিয়া। এছাড়া, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে কানাডা। চলুন জেনে নেওয়া যাক এইসব দীর্ঘতম (length of longest railway) রুট সম্পর্কে।
পৃথিবীর সব থেকে দীর্ঘতম ট্রেনের রুটটি (length of longest railway) অবস্থিত রাশিয়ায়, যা রাশিয়ার রাজধানী মস্কোকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভোস্টকের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। দীর্ঘতম এই রুটের দৈর্ঘ্য হল ৯,২৫৯ কিলোমিটার এবং যাত্রা শেষ করতে যা সাত দিন সময় নেয়। যদি কোন বুলেট ট্রেন ৪০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসে তাহলে এই রুট শেষ করতে সময় লাগবে একদিন। অন্যান্য যাত্রার তুলনায় মানুষ ট্রেনযাত্রাকে বেশি পছন্দ করে কারণ এর স্মৃতি সারা জীবনেও ভোলা যায় না।
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম ট্রেন রুটটি (length of longest railway) অবস্থিত কানাডায়। এই দীর্ঘরুট টরন্টোকে সংযুক্ত করে ভ্যাঙ্কুভারের সঙ্গে। এই পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,৪৬৬ কিলোমিটার, যা অতিক্রম করতে সময় লাগে চার দিন। এই রুটের সব থেকে ন্যূনতম ভাড়া হলো ৫২৯ ডলার। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে হলে এখানে একবার আসতেই হবে। রাশিয়ার পরে সারা বিশ্বে কানাডা হল দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। তালিকায় পরবর্তী নাম হল বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম রুট অর্থাৎ সাংঘাই থেকে লাসার ট্রেনযাত্রা। যার আনুমানিক দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,৩৭৩ কিলোমিটার। এই দীর্ঘতম রুটে যে ট্রেনটি চলে তার যাত্রা শেষ করতে সময় লাগে ৪৬ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট অর্থাৎ প্রায় দুই দিন। ট্রেনটি সাংহাই রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায় প্রতিদিন ৮টা ২ মিনিটে এবং দুই দিন পরে ৬টা ৪৬ মিনিটে লাসায় পৌঁছায়।
বিশ্বের আরেকটি দীর্ঘতম রুট যা অবাক করে মানুষকে। এই দীর্ঘতম ট্রেন রুটের (length of longest railway) তালিকাতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি-পার্থ রুটটি ৪ নাম্বার স্থান অধিকার করে নিয়েছে। এই রুটটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য হলো ৪,৩৫২ কিলোমিটার। ট্রেনটি যাত্রা শেষ করতে সময় নেয় মোট চার দিন। ট্রেনটি তার যাত্রা শুরু করে ভারত মহাসাগরের উপকূল থেকে এবং এর যাত্রা শেষ হয় প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে। পর্যটকরা স্বর্গের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পাবে এখানে। ট্রেনটি একটি দীর্ঘতম স্টেজের মধ্য দিয়ে বের হয়, যার দৈর্ঘ্য ৪৭৮ কিলোমিটার। এই স্ট্রেচটি রয়েছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায়, এর নাম The Nullarbor।
বিশ্বের দীর্ঘতম রেললাইনের তালিকাতে ভারত নিজের জায়গা দখল করে নিয়েছে। ভারতের দীর্ঘতম রেললাইনের রুট (length of longest railway) হলো অসমের ডিব্রুগড় থেকে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী পর্যন্ত। এটি বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম রুট যার দৈর্ঘ্য হলো প্রায় ৪,২৩৭ কিলোমিটার। এই দীর্ঘতম রুট ধরে চলে বিবেক এক্সপ্রেস যার যাত্রা শেষ করতে সময় লেগে যায় ৭২ ঘন্টা।