It was revealed during the moon landing of Chandrayaan-3: ভারতীয় ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। আবারো চন্দ্রঅভিযানের সাক্ষী হতে চলেছে গোটা ভারতবর্ষ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা অর্থাৎ ইসরো আগামী ১৪ জুলাই শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করবে চন্দ্রযান-৩। সম্প্রতি শেষ হয়েছে চন্দ্রযানকে বহনকারী লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-থ্রি (LVM-III) রকেটের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার কাজটি। চাঁদে যাওয়ার রকেটটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে। চাঁদের উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান-৩ তার যাত্রা শুরু করবে শুক্রবার দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ, এমনটাই বলেছে ইসরো। কত সময় লাগবে এর অবতরণ (Landing date of Chandrayaan-3) করতে?
ইসরোর চন্দ্রযান- ২ মিশন চার বছর আগে ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু তবু তারা হাল ছাড়েনি। চন্দ্রযান-৩ হলো ইসরোর দ্বিতীয় চেষ্টার ফলাফল। এর প্রধান লক্ষ্য চাঁদে সঠিকভাবে ল্যান্ডিং (Landing date of Chandrayaan-3)। চন্দ্রযান-৩ কে সাজানো হয়েছে একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভার দিয়ে। এই মহাকাশযানটি চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশের পর প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ঠিক সেরকমই প্রোগ্রাম করা আছে।
ইসরো এর আগে ২০১৯ সালেও চাঁদকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে তারা। গত অভিযানে চন্দ্রযান-২-এর চাঁদে অবতরণ করতে সময় লেগেছিল প্রায় ৪৮ দিন। তবে বেশি সময় লেগেছিল অ্যাপেলো মিশনে। চন্দ্রযান ২ কে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। মহাকাশযানটি ওই বছর ২০ অক্টোবর ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছয়। মহাকাশে চাঁদের পৌঁছানোর কক্ষপথ যথেষ্ট দীর্ঘ ও জটিল। চন্দ্রযান-২-এ এমন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছিল যা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষীয় টান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য আস্তে আস্তে গতি বাড়াতে পারে।
মহাকাশযানটি যখন প্রথম আকাশে ওড়ে তখনই সেটি প্রবেশ করে পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথে। এক্ষেত্রে মহাকাশযানটি অরবিটাল কৌশলকে কাজে লাগিয়েছিল। প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় ট্রান্স লুনার ইঞ্জেকসনস (TLIs)। যন্ত্রটির মধ্যে এমন ইঞ্জিন রয়েছে যা প্রয়োজন অনুসারে গতি ও শক্তিকে বাড়াতে ও কমাতে সাহায্য করে। চলতি বছর ১৪ জুলাই চন্দ্রযান-৩-এর অভিযানেও একই কৌশলকে অবলম্বন করা হবে (Landing date of Chandrayaan-3)।
যদি ১৪ জুলাই মহাকাশযান উৎক্ষেপণ হলে অগাস্টের শেষে চন্দ্রয়ান-৩ পৌঁছবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে (Landing date of Chandrayaan-3)। ৪৫ থেকে ৪৮ দিন অবধি সময় লাগতে পারে মহাকাশযানটির চাঁদে পৌঁছাতে। চন্দ্রযান-৩ হয়তো চাঁদে পৌঁছাবে ২৩ শে থেকে ২৪ শে অগাস্টের মধ্যে। মহাকাশযানটি যখন চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্যে প্রবেশ করবে তার গতি অনেক কমে যাবে। মহাকাশযানটি তার উচ্চতা কমিয়ে ধীরে ধীরে প্রবেশ করবে চাঁদের বৃত্তাকার কক্ষপথে। মহাকাশযানটি ইঞ্জিনগুলি লুনার অরবিট ইনসারশন (LOI)-এর মাধ্যমে গতি অনেকটাই কমিয়ে দেবে। এভাবেই চাঁদের মাধ্যকর্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়াবে চন্দ্রযান-৩।