নিজস্ব প্রতিবেদন : নববর্ষের আগের চৈত্র সংক্রান্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মঙ্গল কামনায় কালীঘাটে পুজো দিলেন। কালীঘাটে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি বছরের শেষ দিনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময় তিনি দীঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার ঘোষণা করলেন। নববর্ষের শুভক্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিয়ে নতুন করে চর্চা তৈরি হয়েছে রাজ্যে।
এদিন কালীঘাটে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেন। এর পাশাপাশি তাকে লক্ষ্য করা যায় রাজ্যে যে সকল ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন মন্দির রয়েছে সেগুলি উন্নয়ন করার জন্য রাজ্য সরকার কিভাবে কাজ করছে। তার এই উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরার সময় তারাপীঠ মন্দির এবং তারাপীঠ এলাকার প্রসঙ্গ ওঠে। প্রসঙ্গ ওঠে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকের। এছাড়াও প্রসঙ্গ ওঠে অনুকুল ঠাকুর আশ্রম, গঙ্গাসাগর, দুর্গেশ মন্দির ইত্যাদির।
এখানেই শেষ নয়, এর সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ঘোষণা করতে দেখা যায় দীঘায় পুরী মন্দির তৈরি করার বিষয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নতুন করে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে দীঘাতে। কালীঘাটের ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হচ্ছে স্কাইওয়াক। গোটা বিষয়টিকে অদল বদল করা হবে। তবে হকারদের উচ্ছেদ করা হবে না। তাদের জন্য হাজরা পার্কের ভিতর কিছু স্টল বানানো হয়েছে।
দীঘায় পুরীর আদলে জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি করার ঘোষণা তবে এই প্রথম করতে দেখা গিয়েছে এমনটা নয়। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই জানিয়েছেন। এমনকি এই মন্দিরের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
এমনিতেই দীঘা রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে। সেই জায়গায় এখানে যদি পুরীর আদলে জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি করা হয়ে থাকে তাহলে পর্যটকদের কাছে তা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। যে কারণে দীঘা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা মুখিয়ে রয়েছেন তাদের পর্যটন কেন্দ্রে নতুন মুকুট পরাতে।