ভারত-চীন সংঘর্ষে শহীদ বীরভূমের জওয়ান, যোগ্য জবাবের দাবি পরিবারের

Madhab Das

Published on:

হিমাদ্রি মন্ডল : সীমান্ত এলাকা নিয়ে দিন কয়েক ধরেই মন-কষাকষি চলছিল ভারত ও চীনের মধ্যে। দফায় দফায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়। তবে গত সোমবার রাতে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীদের সংঘর্ষে শহীদ হন ভারতীয় সেনার কম করে ২০ জন সেনা জওয়ান বলে খবর। আর এই সকল সেনা জওয়ানদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের এক সেনা জওয়ান। বীরভূমের সেই সেনা জওয়ানের বাড়িতে শহীদ হওয়ার খবর আসতেই ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন, পাশাপাশি পরিবারের লোকজন চিনা সৈনিকদের বিরুদ্ধে যোগ্য জবাবের দাবি করেছেন।

বাংলা তথা বীরভূমের এই শহীদ হওয়া সেনা জওয়ান হলেন রাজেশ ওরাং। তিনি বীরভূমের মহঃবাজার থানার অন্তর্গত বেলগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। বয়স মাত্র ২৬। ২০১৫ সালে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। তারপর তার ডিউটি পরে লে লাদাখে। শেষবার তিনি বাড়িতে আসেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। আর এরপর শেষবার পরিবারের সাথে ফোনে কথা হয় গত ২ সপ্তাহ আগে। আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। পরিকল্পনা ছিল এখানে ওখানে ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না, অবশেষে তার কফিনবন্দি দেহ আজই ফিরছে গ্রামের বাড়িতে।

শহীদ হওয়া এই সেনা জওয়ান বাড়িতে রেখে গেলেন তার একমাত্র বৃদ্ধ বাবা-মাকে। বাবাও অসুস্থ দীর্ঘদিন ধরে। আর এই রকম পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকাল বেলায় ফোন আসে, রাজেশ ওরাং ভারত ও চীন সেনাদের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন রাজেশ। তাকে ভর্তি করা হয়েছে আর্মি হাসপাতালে। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ফোন আসে আর তখন বলা হয় রাজেশ ওরাং আর নেই, তিনি শহীদ হয়েছেন।

ফোন করে পরিবারের লোকজনকে এটাও জানানো হয়, আজ অর্থাৎ বুধবার এই শহীদের দেহ কলকাতায় এসে পৌঁছবে বিকাল চারটে নাগাদ। তারপর এসে পৌঁছবে গ্রামের বাড়িতে। যদিও ঠিক কখন এসে পৌঁছবে শহীদের দেহ তার সঠিক সময় জানানো হয়নি। ঘটনার পর থেকেই পরিবারের লোকজনের দাবি, “ভারত সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের ভারতীয় শহীদ সেনা জওয়ানদের বলিদান যেন বুঝে নেওয়া হয় চীনের থেকে।”