Jawhar Sircar: আরজি করের প্রতিবাদ, তৃণমূলকে ধাক্কা দিয়ে সাংসদ পদ ও দল ছাড়লেন জহর সরকার

Madhab Das

Published on:

Advertisements

বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ শুধু সাধারণ মানুষদের প্রতিবাদ নয়, পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদেরও তরফ থেকেও প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। আর এসবের মধ্যেই এবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলকে ধাক্কা দিয়ে সাংসদ পদ ও দল ছাড়ার ঘোষণা করলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar)। এই বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

Advertisements

আরজি কর কান্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় দলের অস্বস্তি বাড়াতে দেখা গিয়েছে দলেরই সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে। তবে তিনি দলের অস্বস্তি বাড়ালেও সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার মতো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এদিকে তৃণমূলের এই প্রথম কোন সাংসদ হিসাবে জহর সরকার রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

Advertisements

ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে চিঠি দিয়েছেন সেই চিঠিতে লিখেছেন, রাজ্য সরকার এখন যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে তা খুব অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি একমাস ধরে এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবার প্রতিক্রিয়া দেখে ভেবেছেন কেন পুরনো মমতা ব্যানার্জির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে কেন সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বললেন না। এছাড়াও এই আন্দোলনকে শুরু থেকেই বাম ও বিজেপির আন্দোলন বলে দাবি করার নিন্দা করেছেন তিনি।

Advertisements

আরও পড়ুন : Aadhaar Card New Rule: আধার কার্ড তৈরির নিয়মে বদল, এবার দিতেই হবে একটি নথি

জহর সরকার হলেন ১৯৭৫ ব্যাচের একজন আইএএস অফিসার। এছাড়াও তিনি প্রসার ভারতী থেকে শুরু করে ভারত সরকারের সচিব হিসাবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ২০২১ সালের ২ আগস্ট তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হন। এরই মধ্যে সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার এবং সেই মতো তিনি চিঠি করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি রাজ্যসভার অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগ করবেন বলেও জানিয়েছেন।

রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে তিনি আরজি কর কান্ড নিয়ে মূলত যা যা লিখেছেন তাতে এমন একটি ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে তিনি ব্যথিত। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে সাংসদ থাকাটা জরুরি মনে করেন না। তাই তার এমন সিদ্ধান্ত।

Advertisements