Jeshoreshwari Crown: শেষমেষ চুরি গেলো মোদীর দেওয়া উপহার, ভারত বাংলাদেশকে দিলো কড়া বার্তা

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Jeshoreshwari Crown: ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশকে পড়তে হচ্ছে একের পর এক নানা সমস্যায়। সম্প্রতি সাতক্ষীরায় যশোরেশ্বরী দেবীর মুকুট চুরির ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। চুরির এই ঘটনাটি নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকায় অবস্থিত ভারতী হাইকমিশন। বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এর দ্বারা। যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

ভারতীয় হাইকমিশনের তরফ থেকে পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং তাতে জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশের সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী মন্দির থেকে যে মুকুটটি (Jeshoreshwari Crown) চুরি হয়েছে তা ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদী এসে উপহার দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশ যথেষ্টভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করা হচ্ছে যাতে বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করা হয় এবং চুরি যাওয়া মুকুট যাতে ফেরত আনা হয়।

Advertisements

আমরা সকলেই জানি যে, ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম হল সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেবীর জন্য মুকুটটি (Jeshoreshwari Crown) উপহার হিসেবে প্রদান করেছিলেন। অভিযোগ উঠেছে সেই উপহার দেওয়া মুকুট চুরি গেছে। মন্দিরটি অবস্থিত বাংলাদেশের সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুরে। সেখানকার পুরোহিত দিলীপ মুখোপাধ্যায় বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানান, যখন দুপুরবেলা তিনি বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন তখনই এই অঘটন ঘটে।

Advertisements

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন নীতিতে পাকিস্তানের পণ্য মুক্ত, বাড়ছে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

চুরির বিষয়ে শ্যামনগর থানার পুলিশ আধিকারিক তাইজুল ইসলাম আশ্বস্ত করেছেন যে, সিসিটিভি ফুটেজ এর মাধ্যমে চোরকে ইতিমধ্যে সনাক্ত করা গেছে। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যশোরেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলেন এবং যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে তিনি নিজের হাতে দেবীকে সোনার মুকুট (Jeshoreshwari Crown) পরিয়ে দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের সাতক্ষীরার এই শক্তিপীঠ দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগে তৈরি করেছিলেন একজন ব্রাহ্মণ। ১৩ শতকে লক্ষণ সেন এই মন্দিরটির সংস্কার করেন। শেষমেষ ১৬ শতকের দিকে রাজা প্রতাপাদিত্য মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, এই মন্দিরে দেবী সতীর হাতের তালু ও পায়ের পাতা পড়েছিল এবং এখানে দেবী যশোরেশ্বরী রূপে প্রতিষ্ঠিত আছেন। শীঘ্রই তদন্ত করে মুকুটটি ফিরিয়ে আনা হবে এমনটাই আশা করছি সকলে।

Advertisements