রাতারাতি কোটিপতি মাছ বিক্রেতা, খবর পেয়েই আনন্দে অজ্ঞান

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার শখ কার না নেই। এই বিশ্বে খুব কম মানুষ রয়েছেন যাদের অর্থের প্রতি লোভ নেই। তবে শখ থাকলেও সেই শখ এত সহজে পূরণ হয় না। যদিও ইদানিংকালে ডিয়ার লটারির (Dear Lottery) দৌলতে অনেকেই রয়েছেন যারা রাতারাতি কোটিপতি হয়ে উঠেছেন।

রাতারাতি কোটিপতি হওয়াদের এই তালিকায় এবার নাম লেখালেন বীরভূমের বোলপুরের এক মাছ বিক্রেতা। বহুদিন ধরেই স্বপ্ন দেখতেন বড়লোক হওয়ার। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ কোনোভাবেই হচ্ছিল না। স্বপ্ন পূরণ করতে মাঝে মাঝেই লটারি টিকিট কিনতেন ওই মাছ বিক্রেতা। আর শেষমেষ ওই লটারির টিকিটই তাকে কোটিপতি করে দিল।

বোলপুর পৌরসভার অন্তর্গত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জীবন দাস দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করছেন। তিনি সাইকেল চালাতে পারেন না আর সাইকেল চালাতে না পারার কারণে মাথায় ঝুড়ি চাপিয়ে এলাকা ঘুরে মাছ বিক্রি করেন। অন্যদিকে আবার তার স্ত্রী মালা সাহানিও একজন মাছ বিক্রেতা। বড় ছেলে মুন্না ট্রেনে হকারি করেন আর ছোট ছেলে সঞ্জীব রং মিস্ত্রি।

এমন একটি দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের পুরো হাওয়া বদলে দিল একটি লটারির টিকিট। লটারির টিকিটে কোটি টাকা জেতার খবর জীবন বাবু পান গত রবিবার। তিনি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তারপর জ্ঞান ফিরলে তিনি আনন্দের সেই খবর দিতে তড়িঘড়ি পৌঁছে যান বাড়ি।

লটারিতে কোটি টাকা জেতার পর জীবন দাস নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে জানিয়েছেন, “কোটি টাকা জেতার খবর পেতেই আমার তো অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় দাঁড়ায়। এর পাশাপাশি আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করে কেউ সেই টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাবে না তো।”

এরপর তিনি থানাতে লটারির টিকিটে কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়টি জানান এবং সেই টাকা হাতে পাওয়ার জন্য পরবর্তী যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় তা শুরু করেছেন। যদিও তিনি এখনো পর্যন্ত টাকা হাতে পাননি বলেও জানিয়েছেন। টাকা হাতে পেলে সেই টাকা দিয়ে স্বপ্নের একটি বাড়ি বানাবেন বলে জানিয়েছেন।