জিমি ম্যাথুজ (Jimmy Matthews) তার সমগ্র জীবনে অস্ট্রেলিয়া (Australia) দলের পক্ষে আটটি টেস্ট (Teat) খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯১১-১২ মৌসুমে নিজ জন্মভূমিতে ২টি ও ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডে (England) অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় (Tri nation series) বাদ-বাকী ছয় টেস্ট খেলেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র বোলাররূপে (Bowler) এক টেস্টের উভয় ইনিংসে দুইটি হ্যাট্রিক (Hat trick) করার বিরল কীর্তিগাথা রচনা করেন ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। তার এ রেকর্ডটি অদ্যাবধি টিকে রয়েছে স্ব-মহিমায়। পরবর্তীকালে দুই হ্যাট্রিকের সাথে হিউ ট্রাম্বল (Heu Traumble), ওয়াসিম আকরাম (Wasim Akram) ও স্টুয়ার্ট ব্রড (Stuart Broad) নিজেদের নাম যুক্ত করেন।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে (Old Trafford) অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের শেষ তিন উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিক করেন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে (South Africa) ফলো-অন পাঠান। একইদিন ২৮ মে, ১৯১২ তারিখে দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি হ্যাট্রিক করেন। উভয় ক্ষেত্রেই তিনি কোন ফিল্ডার কিংবা উইকেট-রক্ষকের সহযোগিতা ছাড়াই এ রেকর্ড গড়েন।
উভয় হ্যাট্রিকেই দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেট-রক্ষক টমি ওয়ার্ড তার তৃতীয় শিকার হন ও টেস্ট ক্রিকেটের অভিষেক কিং পেয়ার লাভ করেন। ঐ খেলায় তিনি আর কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। খেলায় তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৬/৫৪। ঐ সিরিজে তিনি আরও ৯ উইকেট পান। একই দলের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম খেলায় তিনি ৪/২৯ পেয়েছিলেন।
প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছিল ১৮৭৭ সালে। টেস্ট ক্রিকেট শুরু হয়েছে ১৪৬ বছর হয়ে গেল। মাঝে কয়েক হাজার টেস্ট ম্যাচ হয়েছে। কয়েক হাজার ক্রিকেটার এই ফরম্যাটে খেলেছেন। এর মধ্যে ৪২ জন টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছেন। এর মধ্যে মাত্র চারজন বোলার রয়েছেন, যাঁদের দুটো করে হ্যাটট্রিক রয়েছে। কিন্তু একই ম্যাচে দু-বার হ্যাটট্রিক, অস্ট্রেলিয়ার জিমি ম্যাথুজ ছাড়া কেউ করে নি। আর তার এই রেকর্ড এখনও অক্ষত আছে।