নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিবেশী দেশ হলেও ভারত ও চীনের মধ্যে শত্রুতার অভাব নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেমন শত্রুতা রয়েছে ঠিক সেই রকমই বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও রয়েছে শত্রুতা ও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আর এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) চীনকে বলে বলে ১০ গোল দিলেন। মুকেশ আম্বানির জিও (Jio) টেলিকম সংস্থার দৌলতেই এসেছে এমন শিরোপা।
ভারতের বুকে বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা হিসেবে বহু বছর আগেই মুকেশ আম্বানির জিও শিরোপা পেয়েছে। আর এবার তারা বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা হিসেবে নতুন শিরোপা পেল। নতুন এই শিরোপা এসেছে মূলত চীনের চায়না মোবাইল লিমিটেড (China Mobile Limited) সংস্থাকে পিছনে ফেলে দেওয়ার দৌলতে। কড়া টক্করের (Jio vs China Mobile) মধ্যে যেতে যেতে জিওই আজ বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করল।
বিশ্লেষণকারী সংস্থা টেফিশিয়েন্ট যে তথ্য পেশ করেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিও ৪০.৯ এক্সাবাইট ডেটা নিয়ে কাজ করেছে। অন্যদিকে চায়না মোবাইল কাজ করেছে ৩৮ এক্সাবাইট। এছাড়াও মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থার হাতে এখন রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি 5G সাবস্ক্রাইবার বেস। এই বেশ তৈরি হয়েছে ১০৮ মিলিয়ন গ্রাহকদের নিয়ে।
আরও পড়ুন ? JioCinema Premium: টাকা-পয়সা ছাড়া JioCinema-য় IPL দেখার দিন শেষ! শুরু জল্পনা! নয়া সিদ্ধান্ত Jio-র
জিওর এমন রকেটের গতিতে উত্থান মূলত ভারতের মতো উপমহাদেশের গুরুত্বের কারণে। এছাড়াও রয়েছে জিওর একের পর এক নতুন নতুন অফার। যে সকল অফার প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের মন জয় করে চলেছে। বিশেষ করে জিও টেলিকম জগতে তখনই বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিয়েছিল যখন তারা আনলিমিটেড প্ল্যান লঞ্চ করে। আর এখন এই সংস্থা 5G পরিষেবার প্রমোশন করার জন্য চালাচ্ছে প্রমোশনাল আনলিমিটেড 5G অফার। এই অফার জিওকে এমন শিরোপা দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
এর পাশাপাশি জিওর ওয়্যারলেস হোম ব্রডব্যান্ড সার্ভিসও বড় সাফল্য পেয়েছে। এখন দেশের বহু গ্রাহকের কাছেই জিও এয়ারফাইবার ব্যাপক চাহিদার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের ৫ হাজারের বেশি এলাকায় রয়েছে জিও এয়ারফাইবার সংযোগ। পাশাপাশি তাদের অন্যান্য বিভিন্ন পরিষেবাও প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের মন জয় করে চলেছে। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই জিও আজ এমন সফলতা পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।