নিজস্ব প্রতিবেদন : রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের (Reliance Industries) কপাল খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল সংস্থাকে সবার প্রথমে রাখা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো জিও (Jio)। মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) টেলিকম সংস্থা জিও কেবলমাত্র মুকেশ আম্বানির ভাগ্য খোলেনি, এর পাশাপাশি এই টেলিকম সংস্থা দেশের মানুষদের দিয়েছে সবচেয়ে সস্তায় পরিষেবা। সস্তায় পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে দেশবাসীকে উপহার স্বরূপ দেওয়া হয়েছে নতুন নতুন প্রযুক্তি।
মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও প্রতিনিয়ত যেভাবে গ্রাহকদের নতুন নতুন অফার দেওয়া হচ্ছে, সেই সকল অফারের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে গ্রাহক সংখ্যা। প্রতিনিয়ত গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে আকর্ষণীয় অফার ছাড়াও রয়েছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। রিলায়েন্স জিওই প্রথম দেশবাসীকে 4G পরিষেবা উপভোগ করার সুযোগ করে দেয়। আবার এই টেলিকম সংস্থায় দেশবাসীকে প্রথম উপহার দেয় 5G পরিষেবা।
এসবের কারণেই মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও প্রতিনিয়ত নিজেদের লাভের অংক বৃদ্ধি করে চলেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও গত ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ১২.৩ শতাংশ লভ্যাংশ বৃদ্ধি করেছে। এক বছর আগে যেখানে টেলিকম সংস্থার লাভের পরিমাণ ছিল ৪৬৩৮ কোটি টাকা, সেই জায়গায় এবারের ডিসেম্বরে ত্রৈমাসিকে লাভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২০৮ কোটি টাকা।
এবার রিলায়েন্স জিও যে পরিমাণ লভ্যাংশ নিজেদের ঘরে তুলেছে তা কেবলমাত্র গত বছরের তুলনায় ১২.৩ শতাংশ বেশি এমনটা নয়, এর পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকের তুলনাতেও ৩ শতাংশ বেশি। কত সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকে সংস্থার লাভের পরিমাণ ছিল ৫০৫৮ কোটি টাকা। সংস্কার তরফ থেকে এমন তথ্য পেশ করার পাশাপাশি জানানো হয়েছে, শেষ চারটি ত্রৈমাসিকে সংস্থার লাভের পরিমাণ ১১.৯৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৮.৩০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে কেবলমাত্র টেলিকম পরিষেবার ক্ষেত্রে সংস্থার লাভ বেড়েছে ১০.৩ শতাংশ।
মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও যেভাবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে শুরু করে ব্রডব্যান্ড পরিষেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিচ্ছে তাতে এই টেলিকম সংস্থাকে ধরা অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা অন্য কোন টেলিকম সমস্যা এত দ্রুতগতিতে এত নতুন নতুন প্রযুক্তি উপহার দিতে পারছে দেশবাসীদের। আবার এই টেলিকম সংস্থা সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শ্রীলঙ্কাতেও তাদের পরিষেবার জাল ছড়িয়ে দিতে পারে।