নিজস্ব প্রতিবেদন : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদে পদ্ম ফোটাতে ফের শুক্রবার রাতে বাংলায় পা রাখতে চলেছে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক জেপি নাড্ডা। শনিবার দিনভর তার দিনভর ঠাঁসা কর্মসূচি রয়েছে মালদহে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ৮:৪০ নাগাদ কলকাতায় পা রাখতে চলেছে জেপি নাড্ডা। রাতে থাকবেন ওয়েস্টিন হোটেলে। শনিবার সকাল ৯:১০ নাগাদ হোটেল থেকে কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে রওনা দিবেন মালদহের উদ্দেশ্যে। মালদহ পৌঁছে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
সকাল ১১টা নাগাদ তার পৌঁছানোর কথা রয়েছে মালদহের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচারে। সেখানে ২০ মিনিট থাকার পর কৃষক সুরক্ষা কর্মসূচির জন্য তিনি পৌঁছে যাবেন সাহাপুরে। এরপর অংশগ্রহণ করবেন রোড শো অনুষ্ঠানে। আগাম কর্মসূচি অনুযায়ী সাড়ে বারোটা নাগাদ ফোয়ারা মোড় থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি পর্যন্ত ৭৫০ মিটার রোড শো করবেন। তারপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করবেন।
এরপর দুপুর দুটো নাগাদ তিনি নবদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। নবদ্বীপে পৌঁছে চটির মাঠ থেকে বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনা করবেন। নবদ্বীপের সমস্ত কর্মসূচি সেরে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন এবং সেখানে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক করবেন। সন্ধ্যা ৭:৩৫ নাগাদ পুনরায় দিল্লির দিকে রওনা দেবেন।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার এই সফরে কোথায় ভজন করবেন এই প্রশ্ন সাধারণ মানুষ তথা রাজনীতিবিদদের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কারণ প্রত্যেক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই বাংলায় আগমনের পর কখনো কৃষক, কখনো বাউল শিল্পী আবার কখনো মতুয়াদের বাড়িতে ভোজন করে চমক দিতে দেখা গিয়েছে। তবে এবার জানা গিয়েছে তিনি কারোর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য যাবেন না।
তিনি এবার মালদহের সাহাপুর গ্রামে মাঠে বসে কৃষকদের সাথে মধ্যাহ্নভোজন সারবেন। মধ্যাহ্নভোজনে খিচুড়ি থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। খিচুড়ি তৈরি হবে মোটা আতপ চাল ও মুগের ডাল দিয়ে। দেওয়া হচ্ছে মটরশুঁটি ও বাদামও। এছাড়াও শিষ পালং, ক্যাপসিকাম, মূলো, বেগুন, গাজর দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পাঁচ তরকারি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্যই এই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলে বিশেষজ্ঞরা।