নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখন তিহারে দিন কাটছে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal)। অনুব্রত মন্ডলের মতো তাবড় নেতা যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরাশায়ী, ঠিক সেই সময় আবার রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে (Jyotipriya Mallick) বালু। তার বিরুদ্ধেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে আর এই দুর্নীতি মানুষের খাবার নিয়ে।
অন্যদিকে এই দুজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন দুর্নীতির ক্ষেত্রে যে সকল ছক সামনে আসছে তা দেখে স্পষ্ট টের পাওয়া যাচ্ছে দুজনের মডেল কিন্তু একই। কেননা এর আগে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জিজ্ঞাসা বাদ করে জানতে পেরেছিলেন, বাড়ির পরিচারকের অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা নগদে জমা দেওয়া হয়েছিল এবং পরে চেকে সই করে সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করার পর জানিয়েছে, বালুর মডেলও প্রায় একই রকম। এছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্রেই অনুব্রত মণ্ডলের মডেলের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মডেল একই রকম রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি দুটি সংস্থার হদিস পেয়েছে। যার মধ্যে একটি হল এ জে অ্যাগ্রোটেক এবং অন্যটি হলো এজে রয়্যাল অ্যান্ড কোম্পানি।
এই দুটি সংস্থা সম্পর্কে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তার স্ত্রী মণিদীপা এবং মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে ইডি জিজ্ঞাসা করলে তারা এই দুই সংস্থার সঙ্গে যোগ নেই বলেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু সংস্থার আধিকারিকরা যখন তাদের বাড়িতে হানা দেন সেই সময় বাড়ি থেকে এই দুই সংস্থার সিল এবং স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়। এছাড়াও মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক স্বীকার করেছেন এই দুটি সংস্থা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরই। এমনটাই জানা যাচ্ছে ইডি সূত্রে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই সকল সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিচালকের স্ত্রী সুকন্যা দাস এবং মা মমতা দাসকে। করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই। ইডির তরফ থেকে মামলাপত্রে জানানো হয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় হাতেনাতে পাওয়া যায় একজন ডিরেক্টরকে। যিনি ১৭ বছর ধরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করছেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের কৃষি দপ্তরের একজন গ্রুপ ডি স্টাফ তিনি।