নিজস্ব প্রতিবেদন : সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনো পর্যন্ত এক নম্বর ট্রেন্ডিং গান কাঁচা বাদাম। এই গানটির স্রষ্টা হলেন বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের ভুবন বাদ্যকর। লোকটি একসময় খুব কষ্টের সঙ্গে দিন গুজরান।
প্রথমদিকে সাইকেল এবং পরে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল নিয়ে গ্রামে গ্রামে পুরাতন ভাঙ্গাচোরা অথবা নগদ জিনিসপত্রের বদলে কাঁচা বাদাম বিক্রি করতেন। রোজগার ছিল দিনে গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। তবে এখন তার সেই দিন নেই। তার সময় বদলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার দৌলতে তিনি আজ লাখপতি।
কাঁচা বাদাম গান ভাইরাল হওয়ার পর তিনি এ যাবৎ যে সকল রাজনৈতিক দলের প্রচারক হিসেবে কাজ করছেন সেই সকল প্রচারের ভিত্তিতে যাতায়াত খরচ, থাকা-খাওয়া বাদেও মোটা অঙ্কের অর্থ পেয়ে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্টুডিওতে যেসকল গান তিনি করেছেন সেই সকল গানের ভিত্তিতে পেয়েছেন ২০-৩০ হাজার টাকা।
সম্প্রতি এক সিবিআই অফিসার তাকে ১২০০০ টাকার একটি চেক দিয়েছেন। দিন কয়েক আগেই ঝাড়খণ্ডের এক ইউটিউবার মনোজ দে তাকে ২৫০০০ টাকার একটি চেক দেন। সবচেয়ে মোটা অঙ্কের টাকা তিনি পেয়েছেন ইলামবাজারের গোধূলি বেলা মিউজিক নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন তিন লক্ষ টাকা।
একসময় ভাইরাল এই শিল্পী ভুবন বাদ্যকরের মাত্র ৪০ হাজার টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ছিল। বর্তমানে ভাইরাল হওয়ার পর কয়েক মাসেই তিনি কয়েক লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন। টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার সখও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সম্প্রতি একটি ইকো চারচাকা গাড়ি কিনেছেন। সেকেন্ডহ্যান্ড এই গাড়িটি কেনার জন্য তার খরচ পড়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। তবে এসবের পরেও তিনি এখনো কিন্তু সেই ভাঙ্গা চালের বাড়িতেই রয়েছেন। বাড়ির এখনো উন্নতি করতে পারেননি তিনি।