Kailash Mansarovar Yatra: ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতিতে ফের শুরু কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Kailash Mansarovar Yatra: অতিমারীর পর থেকে বন্ধ কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা। এছাড়াও, চিন এবং ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশেষ সুবিধার ছিলনা। তবে বিদেশ মন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিসরির চিন সফরে বরফ গলেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে পুণ্যার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছিল কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা থেকে। দুই দেশের সরকারের মধ্যস্থতায় আবার যাত্রা চালু করার সিদ্ধান্ত নিল ভারত-চিন।

Advertisements

উভয় দেশের পুণ্যার্থীদের জন্য সরাসরি বিমানযাত্রার সুবিধা প্রদানের বিষয়েও কথা হয়েছে উভয়পক্ষের মধ্যে। ২০২০ সাল থেকে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) বন্ধ রয়েছে। কি কারণ লুকিয়ে আছে এর পিছনে? আজকের প্রতিবেদনে জানতে পারবেন বিস্তারিতভাবে।

Advertisements

বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি সম্প্রতি দুদিনের চিন সফরে গিয়ে বৈঠক করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এরপরই পুণ্যার্থীদের জন্য সুখবর দেয়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, ২০২৫ সালের গ্রীষ্মেই হয়তো শুরু হয়ে যাবে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) । বিষয়টি নিয়ে রাজি হয়েছে দুই দেশ। দুইপক্ষ কি কি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে আসবে প্রতিবেদনে তাও জানতে পারবেন।

Advertisements

শুধুমাত্র যে দুই দেশের মধ্যে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা নয়, পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তবর্তী নদীগুলিতে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলাপ আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজন শহরে এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে যে, ফলশ্রুতি হিসাবে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা নিয়ে ভারত-চিন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে জায়গা পেলো ভারতীয় বংশোদ্ভূত কুশ দেশাই

ভারতীয় পুণ্যার্থীরা সাধারণত প্রত্যেক বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারত থেকে তিব্বতের মানস সরোবরে যাত্রা করে থাকেন। প্রতিবছর লক্ষাধিক পুণ্যার্থী যান কৈলাসে, যারা কৈলাস যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) করবেন ভাবছেন তাদের হাতে দুর্দান্ত সুযোগ। বিদেশমন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে এই পুণ্যযাত্রা। মূলত নাথুলা ও লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত থেকে তিব্বতে প্রবেশ করেন পুণ্যার্থীরা। এরপর সেইখান থেকে চিনা প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে পৌঁছে দেয় কৈলাসে। মূলত নেপালের বিভিন্ন ট্র্যাভেল এজেন্সি পর্যটকদের কৈলাস নিয়ে যায়।

কোভিড অতিমারীর কারণে ২০২০ সালে এই যাত্রা বন্ধ হয়ে যায়। গালওয়ান সংঘাতের জেরে ভারত-চিন সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বন্ধ থাকে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা। গত বছর প্রচুর কড়াকড়ি চাপিয়ে চিনের তরফে এই যাত্রা শুরু করার প্রস্তাব দিকেও দ্বিগুণ হয়ে যায় যাত্রার খরচ। যারফলে ভারতীয় পুণ্যার্থীদের পক্ষে যাত্রা করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। এবছর উভয়পক্ষ পুণ্যার্থীদের সমস্যার দিকটি বিবেচনা করেছেন। ২০২৫ সালে ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে।

Advertisements