শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদে লকডাউন মানা হচ্ছে না, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি তুলে ধরলেন কৈলাস

নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতার নারকেলডাঙা , রাজাবাজার, তপসিয়া, মেটিয়াবরুজ, গার্ডেনরিচ, ইকবালপুর, মানিকতলা মতো জনবহুল এলাকাগুলিতে লকডাইনের নিয়ম না মেনেই ভিড় জমাচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে এমনই একটি চিঠি রাজ্যকে দেওয়া হয়েছিল গত ১০ তারিখে। এরপর আবার গতকাল আরও একটি চিঠি দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে। যাতে আবারও বলা হয় রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় লকডাউনের শর্ত মানা হচ্ছে না। লকডাউনকে লঙ্ঘন করে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দোকান খোলা থাকছে, যা জরুরী নয়। এমনকি কোনো কোনো ধর্মীয় স্থানে জমায়েত করা হচ্ছে।

২০০৫ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের অধীনে এই চিঠি রাজ্যকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে। আর সেই চিঠির অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র তুলে ধরা চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, এই চিঠি লেখা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। যেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজন ছাড়াই জমায়েত করা হচ্ছে। শিলিগুড়িতে অনেক দোকান খোলা রয়েছে যেগুলি জরুরী পরিষেবা আওতার বাইরে। পাশাপাশি বলা হয়েছে মুর্শিদাবাদে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ধর্মীয় জমায়েত করা হচ্ছে।

চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যকে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে লকডাউন যথাযথভাবে মেনে চলেন রাজ্যের বাসিন্দারা। ভবিষ্যতে এমনটা যেন না হয় তার জন্য সচেষ্ট হতে হবে জেলা প্রশাসন ও সরকারকে।

অন্যদিকে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই চিঠি শেয়ার করে লিখেছেন, “দেশজুড়ে জারি হওয়া লকডাউন পশ্চিমবঙ্গে খুল্লমখুল্লা লঙ্ঘন হচ্ছে। কেন্দ্র সরকার এইজন্য রাজ্যকে দ্বিতীয় বার সতর্ক করল। রাজ্য সরকারকে পাঠানো চিঠিতে শিলিগুড়ি ও মুর্শিদাবাদের কথা উল্লেখ রয়েছে। এটা রাজ্যের অরাজকতার প্রমাণ।”

তবে এমন চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গকে পাঠানো হয়েছে এমনটা নয়। গত রবিবার দেশের প্রতিটি রাজ্যকেই এমন চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে করে প্রতিটি রাজ্য সরকার ও প্রশাসন লকডাউনের নীতি সাধারণ মানুষকে মেনে চলতে বাধ্য করে ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে। প্রতিটি রাজ্যকে বলা হয়েছে পণ্য পরিবহনের যানবাহনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের উপর নজরদারি রাখা। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই চিঠির ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার অথবা অন্যান্য কোন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।