কাজল শেখের বিরুদ্ধে মামলা! আদালতে বেকসুর খালাস

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের অন্যতম জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ একটি মামলায় সোমবার আদালতে বেকসুর খালাস পেলেন। বেকসুর খালাস পাওয়ার পর কাজল শেখ রীতিমতো গর্জে উঠে জানান, আদালতের রায়েই প্রমাণ হয়ে গেল কিভাবে তাকে এবং তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছিল। বোলপুর মহকুমা আদালতে সোমবার সাওয়াল জবাবের পর কাজল শেখকে বেকসুর খালাস বলে জানিয়ে দেন আদালতের বিচারক। এর পাশাপাশি এই মামলায় অন্যান্য যারা অভিযুক্ত ছিলেন তাদেরও বেকসুর খালাস করা হয়।

Advertisements

১৯৯৪ সালে চারকল গ্রামের কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলায় ১৬ জনের মধ্যে চারজন ছিলেন কাজল শেখের পরিবারের সদস্য। বাম আমলের এই মামলায় অভিযুক্তদের নয় জন ইতিমধ্যেই মৃত। আর বাকি যারা জীবিত রয়েছেন তাদের প্রত্যেককে সোমবার বোলপুর মহকুমা আদালত বেকসুর খালাস বলে জানিয়ে দেয়।

Advertisements

কাজল শেখ জানিয়েছেন, বাম আমলে যখন তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয় সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত না হলেও যেহেতু তারা তখন ডানপন্থী রাজনৈতিক ঘরানার পরিবারের সদস্য ছিলেন তাই তাদের বিরুদ্ধে এমন মামলা করা হয়েছিল। তাদের পাশাপাশি আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।

Advertisements

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের প্রথম দিনে ভালোবাসা, আদরে ভরে গেল পরীক্ষার্থীরা

কাজল শেখ জানিয়েছেন, বাম আমলে অর্থাৎ ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে নাই নাই করে ৬৫ টি এই ধরনের মিথ্যা মামলা করেছিল বাম নেতাকর্মীরা। যে সকল মামলার অধিকাংশতেই তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা বেকসুর খালাস হয়েছেন। তবে আরও ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি আশাবাদী এই সকল মামলাগুলিতেও তিনি এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পাবেন।

৩০ মে ১৯৯৪ সালে চারকল গ্রামের গোলাম শেখ কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ঘটনায় কাজল শেখ এবং অন্যান্য ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিলেন। নানুর থানায় অভিযোগ করা এই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা ছিল বলেই সোমবার দাবি করেছেন কাজল শেখ। আর সেই মিথ্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত সওয়াল জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বেকসুর খালাস করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Advertisements