অনুব্রতহীন বীরভূমে ‘ক্যাপ্টেন’ কাজল! পদে বসেই দিলেন ক্ষুরধার বার্তা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যখন তিহার (Tihar) বন্দি সেই সময় হাওয়া বদল জেলায়। জেলা রাজনীতিতে আজীবন কাল কেষ্ট বিরোধী নেতা হিসাবে পরিচিত ফয়জুল হক ওরফে কাজল শেখ (Kajal Sekh) এবার জেলা পরিষদের ক্যাপ্টেন। তাকেই জেলা সভাধিপতি হিসাবে বেছে নিল দল। অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসাবে কাজল শেখকে বেছে নেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisements

কাজল শেখ এদিন শপথ গ্রহণ করার পরই দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে ক্ষুরধার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি কাজের গতি নিয়েও ক্ষুরধার বক্তব্য দেন। উন্নয়নের প্রসঙ্গ আসতেই তার প্রথম লক্ষ্য, যে সকল জায়গায় উন্নয়ন পৌঁছায়নি অর্থাৎ খামতি রয়েছে সেগুলি পূরণ করা বলে জানান। এর জন্য তিনি অঞ্চলে অঞ্চলে, ব্লকে ব্লকে বাড়ি বাড়ি যাবেন বলেও দাবি করেন।

Advertisements

অন্যদিকে শপথ গ্রহণের পর তিনি মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় জানান, তিনি কখনো রাজনীতিকে নিজের পেশা হিসাবে বেছে নেননি আর কাউকে বেছে নিতেও দেবেন না। তার কথায় স্পষ্ট, নিজে খাননি আর কাউকে খেতেও দেবেন না। কাজল শেখের এদিনের এই বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। কেননা শাসক দল তৃণমূল যখন একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ সেই সময় কাজল শেখের এহেন মন্তব্য আলাদা তাৎপর্য বহন করছে।

Advertisements

অন্যদিকে এদিন কাজল শেখ শপথ গ্রহণ করার পর প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলকে ধীরে ধীরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে কাজল শেখ জানান, অনুব্রত মণ্ডল তার অভিভাবক। তিনি এখনো জেলা সভাপতি। তাকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তিনি ছাড়া পাবেন এবং জেলায় ফিরে এসে অভিভাবকের মতোই কাজ করবেন।

এছাড়াও তিনি জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমে যে দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে সেই দুটি লোকসভা কেন্দ্রে জোড়া ফুল ছাড়া অন্য কোন ফুল ফুটবে না। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে জানান, বাড়ি বাড়ি তৃণমূল সরকারের উন্নয়ণ পৌঁছে দিতে হবে, সেই উন্নয়ণ পৌঁছে দিলে আর ভোট চাইতে যেতে হবে না। ভোট নিজে থেকেই চলে আসবে।

Advertisements