নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে কালীঘাট মন্দিরে (Kalighat Temple) আসতে দেখা যায় পুন্যার্থীদের। তবে কালীঘাট মন্দিরের কথা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই সরু গলি আর সেই সরু গলির দুদিকে বিভিন্ন ধরনের পুজোর জিনিসপত্র নিয়ে থাকা দোকান। কালীঘাট মায়ের মন্দিরে প্রার্থনা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এলেও একটু ভিড় থাকলেই তিল ধারণের জায়গা থাকে না। যে কারণে দেশ-বিদেশ থেকে আসা বহু পুণ্যার্থীরা কেমন অস্বস্তি বোধ করেন। কিন্তু এবার এইসব বদলে যাবে আম্বানির হাত দিয়ে।
আসলে কালীঘাট মন্দির এবং মন্দির চত্বর ও সংলগ্ন এলাকা সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই পদক্ষেপ নেওয়ার পর এর দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) সংস্থা রিলায়েন্সের (Reliance) হাতে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে মন্দির এবং সংলগ্ন এলাকার সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
কালীঘাট মন্দির এবং সংলগ্ন এলাকা সংস্কারের কাজের প্রথম ধাপ পূজোর আগেই শেষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেই মতো কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই কাজের জন্য বিশেষভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে কলকাতা পুরনিগম এবং রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের তরফ থেকে। কারণ কালীঘাট মন্দিরের এক প্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে এবং এই মন্দিরের আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে গিয়ে যাতে সেই ঐতিহ্য কোনরকম ভাবে ক্ষুন্ন না হয় তা দেখা হচ্ছে।
কি কি কাজ করা হবে অর্থাৎ পরিকল্পনায় রয়েছে? প্রথমেই কালীঘাট মন্দিরের বাইরের দিকের বিভিন্ন অংশ সংস্কার করা হবে। এর পাশাপাশি এখানে তৈরি করা হবে একটি স্কাইওয়াক। তবে এই সকল সংস্কারের কাজের পরিপ্রেক্ষিতে যাতে পুরাতন সব দোকান এবং পুরাতন সব বাড়ি ও রুজি রোজগার কোনোভাবে ক্ষুন্ন না হয় তার দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। যদিও বছর চারেক আগে এইরকম সংস্কারে হাত লাগিয়েছিল কলকাতা পুরনিগম, কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাতে গতি আসেনি।
তবে এবার মন্দিরের গর্ভগৃহ, নাটমন্দির, শিব মন্দির, মন্দিরের সামনের বিরাট দুয়ার সবকিছুই সংস্কার করা হবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সকল সংস্কারের কাজ চালানো হবে। অন্যদিকে এই কাজ চালানোর জন্য kmc হেরিটেজ কমিটির থেকে যে সকল ছাড়পত্র প্রয়োজন সব নেওয়া হয়েছে এবং কাজ দ্রুতগতিতে চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।