Kalyani Expressway: পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী এইমসে হওয়াতে সুবিধা হয়েছে বহু মানুষের। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পাওয়া যায় একই ছাদের তলায়। রাজ্যের মানুষের পক্ষে এটি একটি বাড়তি পাওনা। তবে কল্যাণী এইমস পৌঁছানো এখন হতে চলেছে আগের থেকে অনেক বেশি সহজ। একেবারে কম সময়ে চলে আসা যাবে এখানে। ভাবছেন কিভাবে সম্ভব? সেই উত্তর জানতে পারবেন আজকের এই প্রতিবেদনে।
বিমানবন্দর থেকে কল্যাণী এইমস একেবারে কম সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারবেন। একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে (Kalyani Expressway) চার লেন রাস্তা তৈরির কাজ। পূর্ত দপ্তর এই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, ৪৩ কিমি দীর্ঘ এই রাস্তার মধ্যে ৩৯ কিমি ফোর লেনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে নতুন বছরের শুরুতেই এই রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। তখন শুধুমাত্র কল্যাণী যাওয়া নয়, উত্তরবঙ্গে যাওয়া হয়ে যাবে আরো অনেক বেশি সহজ। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের সময়ও অনেকটাই কমে যাবে।
আগে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল যানজট। যানজটের কারণে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদার মতো জেলাগুলিতে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ সময় লেগে যেত। কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো বেশি মসৃণ হতে চলেছে যদি নতুন বছরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় এই নতুন ফোর লেনের (Kalyani Expressway) কাজ। এইমস কল্যাণীর মতো পৌঁছানোর জন্য আর চিন্তা করতে হবে না সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি দ্রুত হবে মাল পরিবহন এবং পর্যটকদের জন্যও খুলে যাবে এক নতুন দিশা।
আরো পড়ুন: আগামী বছরই চালু হতে চলেছে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর ও শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড রুট
সমস্যা ছিল দুটি বাড়ির স্থানান্তর করা নিয়ে, বেলঘড়িয়া থেকে মুড়াগাছা, সোদপুর (৪ কিমি) এই অংশের কাজ সেই কারণেই পিছিয়ে পড়েছিল। যত রকমের আইনি জটিলতা রয়েছে তা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী বছরের মে মাসের মধ্যেই চেষ্টা করা হচ্ছে সমস্ত বকেয়া কাজ মিটিয়ে দেওয়ার এবং শুরু হতে পারে নতুন রাস্তা। মুড়াগাছা, সোদপুর থেকে কাঁপা মোড় (৩০.৫ কিমি) এই অংশের ফোর লেনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে রাস্তার আলোর কাজ। চলতি মাসেই হয়তো শেষ হয়ে যাবে এই কাজগুলো। কাঁপা মোড় থেকে বড়জাগুলিয়া (৯.৮ কিমি) এই অংশের ৬ কিমি ওভারব্রিজ এবং রাস্তায় ফোর লেনের কাজ প্রায় শেষ। বাকি ৩ কিমি রাস্তার কাজও চলতি মাসেই শেষ হবে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের এক নয়া পথ (Kalyani Expressway) তৈরি হবে আগামী বছরেই। যাতায়াত করা নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবে না সাধারণ মানুষকে। পূর্তদপ্তর জানাচ্ছে, পুরো প্রকল্প আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করার চিন্তাভাবনা নেওয়া হচ্ছে। এই উন্নয়নমূলক প্রকল্প উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব কমিয়ে আনবে এবং সময়ের সাশ্রয় করবে।