Kalyani Expressway: নতুন বছর রাজ্যবাসীর জন্য খুবই ভালো কারণ খুলে যেতে চলেছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। অবশেষে অবসান ঘটতে চলেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার। তবে এতদিন পর্যন্ত যে সম্পূর্ণ রাস্তা বন্ধ ছিল তা নয়। রাস্তায় যে অংশে কাজ হচ্ছিল শুধুমাত্র সেই অংশটুকুই বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকি জায়গা দিয়ে নির্বিঘ্নেই চলছিল গাড়ি। তবে এবার সম্পূর্ণরূপে কল্যাণীর ক্ষেত্রে খুলে দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি নতুন বছরের একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের প্রথমেই রাস্তা চালু হয়ে যাবে।
হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোদপুরের মুড়াগাছা মোড় থেকে কাঁচরাপারার কাঁপা মোড় পর্যন্ত শেষ হয়ে গেছে ৩০ কিলোমিটার কল্যাণী এক্সপ্রেসের (Kalyani Expressway) ৯৮ শতাংশ কাজ। মুড়াগাছা মোড়ের উড়ালপুলের কাজ শেষ পর্যায়ে চলছে। হিসাব করলে ১৭টি উড়ালপুল তৈরি হয়ে গিয়েছে। আন্ডারপাস হয়েছে ৬০টি। এক মাসের নবনির্মিত ছ’লেন সম্প্রসারিত নতুন রাস্তা সাধারণের জন্য পুরো খুলে যাবে।
রাস্তাটির (Kalyani Expressway) বিশেষত্ব হলো, পাঁচ বছরের জন্য তদারকির দায়িত্বে থাকবে ঠিকাদারি সংস্থা। এই নতুন রাস্তার যদি পিচ উঠে যায়, তাহলেই এই সংস্থা মেরামতের জন্য একেবারে তৈরি। এমনকী রাস্তায় লাইটের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকেও পাঁচ বছর দায়িত্ব নিতে হবে। এছাড়াও লাইট খারাপ হলে বদলে দিতে হবে। পাশাপাশি, আলোর বিদ্যুৎ বিলও ঠিকাদার সংস্থা মেটাবে। পাঁচ বছরের চুক্তিতে ঠিকাদারি সংস্থাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তাটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে গুজরাতের একটি ঠিকাদারি সংস্থা।
আরও পড়ুন:Indian Railways: বাংলার রেলব্যবস্থা সেজে উঠছে নতুনভাবে, বরাদ্দ টাকার পরিমাণ অবাক করার মতো
নতুন রাস্তা (Kalyani Expressway) সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কটাক্ষ করে বলেছে যে, রাস্তা তৈরি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই বেহাল অবস্থা দেখা দেয় রাস্তার। সরকারের সেইদিকে নজর দেওয়া উচিত। রাস্তা প্রথম চালু হলে ঝাঁ চকচকে লাগে। কয়েকমাস বাদে এর আসল অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। এখানে অবশ্য ঠিকাদারি সংস্থাকে পাঁচবছর মেনটেনেন্সের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর রঞ্জন কুমার বলেন, আগামী বছরের শুরুতেই মুড়াগাছা থেকে কাঁচরাপাড়ার কাঁপা পর্যন্ত চালু হয়ে যাবে এই রাস্তা।
নয়া বছরেই উড়ালপুল চালু হয়ে যাবে। বর্তমানে রাস্তার যা অবস্থা হয়েছে, তাতে রাস্তাটি সামনের পাঁচ বছর কেমন থাকে সেটাই দেখার। পাঁচ বছর ধরে রাস্তার মেনটেনেন্স এর সমস্ত দায়িত্ব থাকবে ওই ঠিকাদার সংস্থার হাতে। ঐ ঠিকাদার সংস্থা স্বাভাবিকভাবে রাস্তা খারাপ হলে তা সংস্কার করবে।