Advertisements

Kalyani Gas Project: পাইপ লাইন গ্যাসের নতুন যুগ, চলতি বছরেই কল্যাণীতে সিলিন্ডারের বিদায়

Prosun Kanti Das

Published on:

Kalyani Gas Project: কল্যাণীর গৃহস্থের জন্য আসছে এক নতুন যুগ, যেখানে রান্নাঘরে সিলিন্ডারের ঝামেলা নয়, সরাসরি পাইপ গ্যাস! দুর্গাপুর থেকে নদিয়ার গয়েশপুর পর্যন্ত গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ সফলভাবে শেষ করেছে গেইল। এই গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিসেম্বরে কল্যাণীর (Kalyani Gas Project) প্রতিটি বাড়িতে পাইপ গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে রাজ্য সরকারের যৌথ সংস্থা বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি। গত ৩১ জুলাই নবান্নে যখন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকার সঙ্গে বৈঠকে বসেন, তখন গেইলের চেয়ারম্যান সন্দীপ গুপ্তা ও ডিরেক্টর দীপক গুপ্তা আলোচনা করে অবশেষে এই জট কাটে।

Advertisements

কিন্তু এই বিপ্লবের পথে ছিল বেশ কিছু বাধা। পূর্ব বর্ধমানের একটি এলাকায় ২৫০ মিটার পাইপলাইন বসানোর কাজ আটকে ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তির কারণে। তবে নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে গেইলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর, সেই জট কেটে যায় এবং পাইপলাইন বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়। এখন, গ্যাস সরবরাহ চালু করার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন, শুধু অপেক্ষা ডিসেম্বরের।

Advertisements

কল্যাণী (Kalyani Gas Project) শহরে গ্যাস সরবরাহের জন্য মেইন পাইপলাইন ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে। স্থানীয় পুরসভার দ্রুত অনুমতি পেলে, ডিসেম্বরে কল্যাণীর প্রতিটি বাড়িতে রান্নার জন্য পাইপ গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। চন্দননগর ও তার আশেপাশের এলাকাতেও ব্রাঞ্চ পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে, যা আগামী মার্চের মধ্যে সম্পূর্ণ হওয়ার আশা করছে সংস্থাটি।

Advertisements

গয়েশপুর পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস পৌঁছলে, কলকাতা ও তার আশেপাশে সিএনজি গ্যাসের জোগান বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে পানাগড় থেকে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, যা সময়সাপেক্ষ এবং চাহিদা পূরণ করতে অসমর্থ। পাইপ গ্যাস চালু হলে, সিএনজি স্টেশনগুলিতে দীর্ঘ লাইনের সমস্যাও অনেকটা কমে যাবে।

আরও পড়ুন : Muhammad Yunus: বেছে বেছে ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের চেয়ারে বসাচ্ছেন ইউনুস! ক্ষোভে ফুঁসছে খোদ বাংলাদেশ

কল্যাণীতে (Kalyani Gas Project) ইতিমধ্যেই একটি মাদার স্টেশন তৈরি হয়েছে এবং ভাটপাড়ার কাছে আরও একটি স্টেশনের নির্মাণ শুরু হয়েছে। এই মাদার স্টেশনগুলি থেকে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে সিএনজি স্টেশনগুলিতে গ্যাস সরবরাহ করা হবে, যতদিন না কলকাতায় পাইপলাইন নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়। রাজ্যবাসী এখন অপেক্ষায়, কবে সেই ঐতিহাসিক দিন আসবে, যখন রান্নাঘরে সরাসরি আসবে পাইপ গ্যাস!

দিনের পর দিন সিএনজির চাহিদা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে সিএনজির চাহিদা রয়েছে ২৫ টন। কিন্তু মাত্র ১৭ টন যোগান দেওয়া যাচ্ছে। বাকি যে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে তা পূরণের জন্যই এই পাইপ গ্যাসের কথা চিন্তা করা হচ্ছে।

Advertisements