ভুবনের ‘কাঁচা বাদাম’ গানের কপিরাইট চুরি! কোন পথে কে পাবে জয়!

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাইরাল এমন একটি জিনিস যে তা রাতারাতি যে কাউকে সেলিব্রিটি করে তুলতে পারে। ঠিক যেমনটা আমরা দেখেছি ভুবন বাদ্যকরের (Bhuban Badyakar) ক্ষেত্রে। তার কাঁচা বাদাম (Kacha Badam) গানটি ভাইরাল হওয়ার পর রাতারাতি তিনি সেলিব্রিটি হয়ে ওঠেন। আবার এটাও ঠিক যে রাতারাতি এইভাবে সেলিব্রেটি হয়ে ওঠা মানুষদের ভুলতেও খুব একটা সময় লাগে না। সেটাও আমরা দেখেছি ভুবন বাদ্যকরের ক্ষেত্রে।

Advertisements

তবে এই ভুবন বাদ্যকর নতুন করে চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি নতুন করে চর্চায় এসেছেন মূলত তারই একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার নিরক্ষরতা এবং সহজ সরলতাকে কাজে লাগিয়ে তার গানের কপিরাইট চুরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং সেখানে অভিযোগ করেছেন, আর তিনি এই গান গাইতে পারছেন না। গানটি গাইলেই কপিরাইট আসছে।

Advertisements

ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ, বীরভূমের এক ব্যক্তি তাকে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। পরিবর্তে ওই ব্যক্তি তার ইউটিউব চ্যানেলে তার কাঁচা বাদাম গানটি চালাবেন। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই কপিরাইট কিনে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কপিরাইট হলো এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে বিনা অনুমতিতে তা ব্যবহার করা হলে আইনের আওতায় শাস্তি এবং জরিমানা হতে পারে।

Advertisements

এই ঘটনার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। হিসাব অনুযায়ী এখন ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম গানের কপিরাইট ধারক হলেন বীরভূমের ওই মিউজিক ভিডিও নির্মাতা সংস্থা এবং তার মালিক। এক্ষেত্রে তার অনুমতি ছাড়াই যখন কাঁচা বাদাম গানটি ব্যবহার করা হচ্ছে তখন তাতে কপিরাইট আসছে। সেক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা অথবা শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে অন্য ভিডিও নির্মাতাদের, এমনকি গানের স্রষ্টা ভুবন বাদ্যকরকেও। এই ধরনের কপিরাইট দীর্ঘ কয়েক দশক পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

তবে ভুবন বাদ্যকরের ক্ষেত্রে কি হবে তা সময় বলবে। কারণ এই বিষয়টি নিয়ে এখন আইনি লড়াই চলছে। ভুবন বাদ্যকর অভিযোগ আনার পাশাপাশি পাল্টা অভিযোগ এনেছেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে তিনিও। তিনি সরাসরি ভুবন বাদ্যকরকে মিথ্যাবাদীও বলেছেন। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে সবকিছু জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।

Advertisements