নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। এক নামেই তিনি সবার কাছে পরিচিত। শুধু এলাকায় নয়, পরিচিত বিশ্বেও। পরিচিতি লাভ করেছেন মূলত তার ভাইরাল হওয়া গান কাঁচা বাদামের (Kacha Badam) দৌলতে।
ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম গানটি ভাইরাল হওয়ার পর তার নাম ডাক চারদিকে শুরু হতে তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে উপার্জন করতে শুরু করেন। এমনকি বিভিন্ন জায়গা থেকে তাকে অর্থ সহ বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। আর সেই সকল টাকাকড়ি দিয়ে ভুবন বাদ্যকর নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে থাকেন। জীবনের অধিকাংশ সময় মাটির ভাঙ্গা ফুটো বাড়িতে কাটানো ভুবন বাদ্যকর স্বপ্ন দেখেন ভালো একটি বাড়ি তৈরি করার। সেই স্বপ্নও পূরণ করতে দেখা যায় তাকে।
নিজের গান গেয়ে উপার্জিত টাকা থেকে ভুবন বাদ্যকর একটি রাজপ্রাসাদ সমান বাড়ি তৈরি করান। আয়তনে বাড়িটি মাত্র দু কাঠার কাছাকাছি জায়গায় তৈরি হলেও বাড়ির ভিতর যেভাবে সাজানো হয় তা হার মানাতে পারে যে কোন অট্টালিকাকে। নিজের দেখা স্বপ্ন অনুযায়ী সুন্দর করে তৈরি করা এই বাড়ি ভুবন বাদ্যকরের সহ্য হলো না। সেই বাড়ি ছেড়ে পালালেন তিনি।
তবে কেন তিনি নিজের শখের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলেন? ভুবন বাদ্যকর প্রায় পাঁচ মাস আগেই কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছেন দুবরাজপুরে। দুবরাজপুরে বর্তমানে তিনি মাসে ২৭০০ টাকা বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকছেন। নিজের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাকে ভাড়া বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। তবে এই এত টাকা বাড়ি ভাড়া দিয়ে কতদিন তিনি থাকতে পারবেন তা নিয়ে নিশ্চিত নন। কারণ তার সমস্ত রোজগার এখন শেষ হয়ে গিয়েছে।
কুড়ালজুড়ি গ্রামে থাকা তার অট্টালিকা বাড়ি ছেড়ে আসার কারণ হিসাবে ভুবন বাদ্যকরের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তা হল চাঁদার জুলুম। পরিচিতি লাভ করার পর এলাকায় মেলা খেলা বিভিন্ন কারণে হানা দিতেন স্থানীয় লোকজন। কথায় কথায় ৫০০, ১০০০ টাকা চাওয়া হতো। আর সেই টাকা দিতে না পারলেই হুমকি। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ভুবন বাদ্যকর আক্ষেপের সঙ্গে জানিয়েছেন, “বাদাম গান আমাকে পরিচয় দিয়েছে, আবার এই গানের কারণেই এখন বাড়িছাড়া।”